পা নেই! মনের জোরকে সম্বল করেই দু’হাতে ভর দিয়ে ১৫ হাজার ফুট চড়লেন ভগবান, ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মনের জোর এবং সদিচ্ছা থাকলে যেকোনো অসম্ভবকেই সম্ভব করা যায়। পাশাপাশি, জয় করে ফেলা যায় সমস্ত শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকেও। আর এই আপ্তবাক্যকেই ফের একবার প্রমাণ করে দেখালেন পাঞ্জাবের ভগবান সিংহ (Bhagwan Singh)। দুর্ঘটনার শিকার হয়েও মনের অদম্য জেদকে সঙ্গী করে তিনি জীবনযুদ্ধে ফের একবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি তৈরি করেছেন এক অনন্য নজিরও। যা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণা দেবে সবাইকে।

দু’পা না থাকলেও শুধুমাত্র দু’টি হাতের ওপর ভর করেই ভগবান পৌঁছে গিয়েছেন ১৫ হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ে। যেখানে শারীরিকভাবে সুস্থ এবং সবল ব্যক্তিরা উঠতে গিয়ে হাঁপিয়ে যান, ঠিক সেখানেই ভগবান অনায়াসেই উঠে পড়েছেন। আর তারপরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন লুধিয়ানার বাসিন্দা বছর চল্লিশের ভগবান। পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামনে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে দু’হাতে ভর দিয়েই খাড়া পাহাড়ে বাকি যাত্রীদের সাথে অবলীলায় উঠে চলেছেন তিনি।

জানা গিয়েছে যে, ভগবানের গন্তব্যস্থল ছিল উত্তরাখণ্ডের হেমকুণ্ড। গত ১৯ জুলাই একাই হেমকুণ্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। এমতাবস্থায়, শনিবার তিনি তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছে যান। উল্লেখ্য যে, ভগবান প্রথমে আর পাঁচজনের মত সুস্থ সবল থাকলেও একটি দুর্ঘটনা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বছর দশেক আগে তিনি একটি ট্রেন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। যেখানে তাঁর পা কাটা পড়লেও তিনি কোনোমতে প্রাণে বেঁচে যান।

যদিও, ভগবান কখনোই শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কাছে হার মানতে চাননি। আর সেই কারণেই একা তিনি রওনা হয়েছিলেন হেমকুণ্ডের উদ্দেশ্যে। এদিকে, সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, বাড়ির লোকেরা তাঁকে প্রথমে একা ছাড়তে চাইছিলেন না। কিন্তু, তিনি ঠিক করেন যে, কাউকে সঙ্গে না নিয়েই তিনি তাঁর লক্ষ্যপূরণ করবেন।

পাশাপাশি, ভগবান আরও বলেন, “এই সফরের সময় আমার একবারও মনে হয়নি যে, আমার পা নেই। বরং মনের জোর আর আত্মবিশ্বাসই আমাকে এত দূর টেনে নিয়ে এসেছে।” এদিকে, ভগবানের ওই ভাইরাল ভিডিওটি বর্তমানে রীতিমতো ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু তাই নয়, সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে রেখে তিনি যেভাবে তাঁর নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছলেন সেজন্য তাঁর আত্মবিশ্বাসকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলেই। সর্বোপরি, নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর