বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুজোর বাদ্যি বাজল বলে। শহরের আকাশে কালো মেঘের ভ্রুকুটির মাঝেও উঁকি দিয়ে যাচ্ছে নীল আকাশ। মহালয়ার প্রস্তুতি তুঙ্গে বাংলায়। আর মহালয়া আসা মানেই তো দুগ্গাও এসে পড়ল বলে। গত বছরের মতো এবারেও করোনা আবহেই পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাঙালিও। দেশের বাড়ির পুজোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় (bhaswar chatterjee)।
তবে এবারে তাঁর বাড়ির পরিবেশ অন্য রকম। গত মে মাসেই পরিবারে ঘটে গিয়েছে এক অঘটন। তুতো দাদাকে হারিয়েছেন ভাস্বর। ভারী মন নিয়ে কারোরই পুজোয় থাকার ইচ্ছা নেই এবারে। তবু ঘরের মেয়েকে তো ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। তাই স্বল্পসংখ্যক আত্মীয়দের নিয়েই নমো নমো করে পুজো সারার পরিকল্পনা অভিনেতার।
আনন্দবাজার অনলাইনের হয়ে কলম ধরে ভাস্বর জানালেন, যে দাদাকে হারিয়েছেন তাঁরই সবথেকে বেশি উৎসাহ ছিল দেশের বাড়ির পুজো নিয়ে। তাই শূন্যস্থানটা আরো বেশি করে চোখে লাগছে। দেশে বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অভিনেতার আত্মীয় স্বজনেরা। গত বছর এমনিতেই করোনার কাঁটায় আসতে পারেননি অনেকে। এবারেও মন খারাপ সকলের।
ভাস্বর জানিয়েছেন, এবারে পুজোর কেনাকাটাও করেননি তাঁরা কেও। শুধু মায়ের কথা রাখতে ষষ্ঠীতে নতুন জামা পরবেন। আর অষ্টমীতে জোড় পরে দেবেন অঞ্জলী। ভাস্বরের এক কাশ্মীরি ভাই নিজে হাতে কাশ্মীরি শাড়ি তৈরি করে উপহার পাঠিয়েছেন। ওই শাড়িই পুজোতে পরানো হবে দেবীকে।
৭৯ বছরে পা দিল ভাস্বরের দেশের বাড়ির পুজো। জাঁকজমকের সঙ্গে থাকে ভোগের এলাহি আয়োজনও। তবে সবই নিরামিষ। পনির, ছানার ডালনা, লুচি, পোলাও, ফুলকপির তরকারি, ভাজা, পায়েস, মিষ্টি নিয়ে যজ্ঞিবাড়ির রান্না।
গত ইদে প্রথম বারের জন্য রোজা রেখেছিলেন ভাস্বর। কলকাতাবাসী এক কাশ্মীরি বন্ধুর বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে পালন করেছিলেন ইদ। সে সময় জানিয়েছিলেন দূর্গাপুজোতেও আমন্ত্রণ থাকবে তাঁর বন্ধুদের। কিন্তু ভাস্বরের পরিবারের অঘটনের কথা শুনে তাঁরাই বলেছেন, এ বছর থাক। আসছে বছর আবার হবে।