বাংলাহান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত ভোটের আগে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনা লেগেই রয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। এবার ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল ভূপতিনগরের বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের নাড়ুয়া ভিলা গ্রামে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে এবং সেই বিস্ফোরণে মারা যান তৃণমূল বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না ও দুই কর্মী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন শাসক দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে বিরোধী শিবির, ঠিক তখনই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে বসলেন মৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রী লতারানী মান্না।
জানা গিয়েছে, তিনি পুলিশকে সরাসরি অভিযোগ করলেন তাঁর মৃত স্বামীর বিরুদ্ধেই। লতারানীর বক্তব্য অনুযায়ী, রাজকুমার নাকি কারোর পরোয়া না করেই এইসব বেআইনি আতশবাজি বানাতেন এবং তার ফলেই ঘটে যায় এমন দুর্ঘটনা। তিনি আরও বলেন যে, তাঁর স্বামী যখন এইসব আতশবাজিগুলো বানাতেন তখন তিনি বাড়ি থাকতেন না আর তাই প্রতিবারেই ভাগ্যক্রমে তিনি প্রাণে বেঁচে যেতেন। পাশাপাশি লতারানীর কথায়, দুর্ঘটনার দিন রাজকুমার ও তার সঙ্গীরা ধূমপান করতে করতেই এই আতশবাজি বানাচ্ছিলেন। আর তার ফলেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিনটি মৃতদেহেই বার্ণ ইঞ্জুরি রয়েছে। মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্ত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকায় নানারকম ফরেন্সিক পরীক্ষা নিরীক্ষাও চালানো হবে। তবে সেখানে তাঁরা কী ধরণের আতশবাজি বানাতেন সেই নিয়েও প্রশ্ন জেগেছে পুলিশের মনে। তবে মৃতদেহগুলি কেন ঘটনাস্থল থেকে দূরে পাওয়া গেলো সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলেই পুলিশের তরফে জানানো হয়।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু আধিকারী এই বিষয়ে কটাক্ষ করে বলেন যে, অনেকদিন থেকেই রাজকুমারের বাড়িতে এইসব আতশবাজি ও বোমা রাখা ছিল। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত হবে। তবে, এই ঘটনা কাঁথিতে অভিষেক ব্যানার্জীর জনসভার আগেই ঘটে। পুলিশের ধারণা যখন বোমা বাঁধা হচ্ছিলো তখনই ঘটে এই বিস্ফোরণ। আহতরা বর্তমানে এগরা সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলেই সূত্রের খবর।