বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভ্রমণ প্রিয় বাঙালির কাছে বরাবর পছন্দের তালিকায় থাকে উত্তরবঙ্গ। তবে উত্তরবঙ্গের পরিচিত টুরিস্ট ডেস্টিনেশনগুলিতে যে হারে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে তাতে অনেকেই খোঁজ করছেন কিছু অফবিট লোকেশনের। উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স (Dooars) বরাবরই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে।
অপরূপ সৌন্দর্য ভুটানঘাটের (Bhutanghat)
সেই ডুয়ার্সেই রয়েছে ভুটানঘাট (Bhutanghat)। ভুটানঘাট যেতে হয় আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের (Forest) মধ্যে দিয়ে। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বলে প্রয়োজন বনদপ্তরের অনুমতি। ভুটানঘাটের পাশাপাশি ঘুরে দেখতে পারেন জয়ন্তী, ফাঁসখাওয়া, সহ একাধিক জনপ্রিয় পর্যটনস্থলগুলি।
ভুটানঘাটের অবস্থান আলিপুরদুয়ার জেলার কুমার গ্রাম ব্লকের ভারত ও ভুটানের সীমান্তবর্তী এলাকায়। পাহাড়ের গায়ে বিভিন্ন রঙের সমাহার পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক ভুটানঘাট আসেন ভুটান পাহাড় দেখার জন্য। পাহাড়ের কোলে কালো সাদা,সবুজ,খয়েরি রঙের খেলা মোহিত করতে পারে আপনাকেও।
আরোও পড়ুন : ৩ ডজন মেশিন ১০ দিন ধরে গুনেছিল টাকা! এই সাংসদের বাড়িতে হয় দেশের সবথেকে বড় আয়কর হানা
এই তেরঙ্গা পাহাড় অবস্থান করছে আলিপুরদুয়ারের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের মধ্যে। তবে এই পাহাড় দর্শনের অনুমতি কিন্তু সব সময় পাওয়া যায় না। তাই স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকদের একটা আলাদা উৎসাহ কাজ করে ভুটান পাহাড় দেখার জন্য। পর্যটন দপ্তর ডে কেয়ার সেন্টার করার চিন্তাভাবনা করছে ভুটানঘাটে।
আরোও পড়ুন : মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল! ‘লাল স্বর্ণ’ বিক্রি করে প্রভূত লাভের আশায় আফগানিস্তান
স্থানীয় মানুষদের আশা সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আর্থিক উন্নতি ঘটবে অঞ্চলের।আলিপুরদুয়ার থেকে শামুকতলা হয়ে ময়নাবাড়ি দিয়ে ভুটানঘাট (Bhutanghat) যেতে সাক্ষী থাকবেন এক রোমাঞ্চকর সফরের। তবে ভারত-ভুটানের এই সীমান্ত এলাকায় যেতে হয় বক্সা টাইগার রিজার্ভের ভিতর দিয়ে। তাই সব সময় মেলে না অনুমতি।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, দূরদূরান্ত থেকে প্রচুর পর্যটক আসেন ভুটানঘাট (Bhutanghat) দেখতে। পর্যটকদের মধ্যে ভুটানের সাতরঙা পাহাড় নিয়ে উন্মাদনাও তুঙ্গে। সরকার ওই এলাকায় ব্লু হোম স্টের ব্যবস্থা করেছে। এমনকি পর্যটন শিল্পে উন্নতির লক্ষ্যে ৬টি হোমস্টে তৈরি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী কাঞ্চালি বস্তি, ময়নাবাড়িতে।