হেরে গিয়েই উল্টো সুর বিজেপি প্রার্থীর গলায়, মমতা ব্যানার্জির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হওয়ায় জল্পনা তুঙ্গে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২ রা মে’র ফলাফলের পর আবারও বাংলার ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল (tmc), অন্যদিকে মনপ্রাণ লড়িয়ে দিয়েও ভরাডুবি হয় বিজেপির (bjp)। ২০০ আসন পাওয়ার টার্গেট করে এগিয়েও দুই অঙ্কেই থেমে যায় এবারের যুদ্ধ। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর পরাজিত বিজেপি নেতাদের মুখে শোনা যাচ্ছে মমতার প্রশংসা, উল্টো সুর গাইছেন গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বরা। যা নিয়ে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

নির্বাচনের পূর্বে তৃণমূলের বদনাম করে, কাজ করতে না পারার অভিযোগ করে দল ত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল (prabir ghosh)। একুশের নির্বাচনে তাঁকে তাঁর পুরনো কেন্দ্র উত্তরপাড়াতেই টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ফলাফলের পর দেখে গেল নিজের পুরনো কেন্দ্রেই আর কেউ পছন্দ করছে না বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষালকে। ভোটে পরাজয়ের পরই উল্টো সুর গাইতে শুরু করলেন এই বিজেপি নেতা।

BBD5024C 6E1A 442D B13B B0D1F0DB0B2B

নির্বাচনে হারের পরই বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতার প্রসঙ্গ টেনে আনেন প্রবীর ঘোষাল। তিনি বলেন, ‘দুর্বলতা ছিলই। কারণ নির্বাচনের আগে ভোটার স্লিপও দিতে পারেনি বিজেপি কর্মীরা। আর অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার আবেদনকে বেশি করেই মানুষ গ্রহণ করেছে’।

নিজের পুরনো কেন্দ্রেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে হারের পর মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষাল। তাঁর কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ পুরো বিজেপি বাংলায় ঝাঁপিয়ে পড়লেও বাংলার মানুষ মমতা ব্যানার্জিকেই সমর্থন করেছেন। তিনি যে উন্নয়নের কর্মসূচী মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন, মানুষ তা গ্রহণ করেছেন। তারউপর ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন, তার ফল হাতেনাতে পেলেন এই বিধানসভা নির্বাচনে’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর