‘কাজল আমার পা ধরে পড়ে থাকত’! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ শুভেন্দুর

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বীরভূমের দুই দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা হলেন অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখ (Kajal Sheikh)। প্রথমজন ‘হুমকি কাণ্ডে’র জেরে কোণঠাসা। এবার দ্বিতীয়জনকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার বোলপুরে দাঁড়িয়ে কাজলকে নিশানা করেন বিজেপি বিধায়ক।

‘এদের উদ্দেশ্য জেলাপরিষদকে হিন্দু মুক্ত করা’! বিস্ফোরক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

কেষ্টর ‘কুকথা কাণ্ডে’র প্রতিবাদে বীরভূমে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানে গিয়েই কাজলের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। বলেন, ‘আরেকটা গর্তে ঢুকে গিয়েছিল। কাজল শেখ। মাল তুলছে। বীরভূম জেলা পরিষদে কোনও হিন্দু ঠিকাদার কাজ করতে পারে না। যদি কোনও হিন্দু ঠিকাদার কাজ করতে চায়, তাহলে তাঁর কাছে ২০% কাটমানি চাওয়া হয়’।

বিজেপি (BJP) বিধায়ক দাবি করেন, সভাধিপতির ভাগ্নে বাপ্পা শেখ, দিলীপ শেখ, সুমন হোসেন, কাদির জিলানিরা এই টাকা তোলার কাজ করে। তাঁর অভিযোগ, হিন্দু ঠিকাদারদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের ভয় দেখিয়ে লেটার হেড সই করিয়ে টেন্ডার প্রত্যাহার করানো হয়।

আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের অপেক্ষার অবসান! কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু কবে? জানিয়ে দিলেন ব্রাত্য

শুভেন্দু বলেন, ‘এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে জেলা পরিষদকে হিন্দু মুক্ত করা। বীরভূমের সকল সরকারি বালি ঘাট থেকে বাপ্পা শেখ, দিলীপ শেখ টাকা তোলে। নলহাটির পাথর ক্রাশার থেকে রোজ গড়ে ১০ লাখ টাকা করে কাজল শেখের কাছে পৌঁছয়’।

suvendu adhikari

এখানেই শেষ নয়! বিরোধী দলনেতা এদিন দাবি করেন, একসময় অনুব্রত মণ্ডলের চাপে তাঁর পা ধরে পড়ে থাকতেন কাজল। তাঁর কোলাঘাটের অফিসে গিয়ে তৃণমূল নেতা পা ধরে পড়ে থাকতেন বলে দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

উল্লেখ্য, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতির পারদ ঊর্ধ্বমুখী। এবার যেমন বীরভূমে দাঁড়িয়ে কাজল শেখকে তুমুল আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তোলাবাজি থেকে শুরু করে জেলা পরিষদে কোনও হিন্দু ঠিকাদারকে কাজ করতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।