এনআরসি আতঙ্কে হাঁসফাঁস রাজ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বুমেরাং হতে চলেছে?

বাংলা হান্ট ডেস্ক : এমনিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে শুধুই বিরোধিতার ঝড়, বেশি প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। আর তাই তো নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিজেপি ফায়দা উঠতে চাইলেও তা যে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে তো প্রশ্ন উঠছেই তার সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে এনআরসি আতঙ্ক। যেহেতু অসমে এনআরসি চালু হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিকপঞ্জি চালু করার ব্যাপারে বিজেপি হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাই রাজ্যবাসীকে নিজভূমে পরবাসী হওয়ার আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়ন করে পশ্চিমবঙ্গে জাল বিস্তার করতে চাইলেও আদৌ কতটা সম্ভব হবে? তা নিয়ে কিন্তু বেশ জল্পনা চলছে। যদিও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কিংবা অন্যান্য সম্প্রদায় যাদের কাছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কিংবা এনআরসি স্পষ্ট নয় অথচ একটাই কথা প্রমাণ না দিতে পারলেই দেশ ছাড়া হতে হবে রাজ্য ছাড়া হতে হবে। এই ধারণা এক প্রকার সকলের মনে গেঁথে রয়েছে, তাই তো পরিবার ভেঙে তছনছ হয়ে যাওয়ার এক আতঙ্ক গ্রাস করেছে বঙ্গবাসীর মধ্যে।

   

যদিও রাজ্যে অনেকেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দু কিন্তু তাঁরা অনেকেই জানেন না এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আসলে কী? তা নিয়ে বিস্তর বিভ্রান্তি, রয়েছে জ্ঞানের অভাব। এমনিতেই বনগাঁর ঠাকুরনগর শহরে মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়া নিয়ে বেশ উচ্ছ্বাস রয়েছে। তাঁদের মতে তাঁরা যে এত দিন ধরে অত্যাচারিত হয়ে আসছিলেন তা থেকে মুক্তি পাবেন।কিন্তু অনেকেই মনে করছেন এনআরসি হলে আসলে আমাদের কী হবে? কোথায় যাব আমরা? এক প্রকার আতঙ্কিত রাজ্যের মানুষ জন।

আর তার প্রভাব একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ এমনিতেই বিধানসভা উপনির্বাচনে যেভাবে রাজ্যের তিনটি আসনে হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস তার জন্য তো বিরোধীরা এনআরসি নিয়ে ভুল বোঝানো কে দায়ী করেছিল তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। সকলের মধ্যে একটাই ধারণা শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারী। যেহেতু শরণার্থী বলতে হিন্দুদের আর অনুপ্রবেশকারী বলতে মুসলিমদের বোঝানো হচ্ছে তা বিজেপি নেতারা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও প্রকার বুঝতে কিন্তু নারাজ বঙ্গবাসী।

সম্পর্কিত খবর