বাবা বাস ড্রাইভার, নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসার থেকেই বক্সিংয়ে আন্তর্জাতিক পদক জয় দুর্গার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছত্তিশগড়ের গড়িয়াবান্ডের ছুরার বাসিন্দা দুর্গা চন্দ্রকার। নামটা হয়তো অনেকের কাছেই এখনও পর্যন্ত ছিল একেবারেই অপরিচিত। কিন্তু এখন নেপালের এসবিকেএফ আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২১-এ বক্সিংয়ে (আন্ডার ৫০ কেজি) সোনা জিতে রীতিমতো সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। কিন্তু অন্যান্য অনেক খেলোয়ারদের মতনই যাত্রাটা মোটেই সহজ ছিল না দুর্গার। না ছিল পরিবারের সমর্থন, না ছিল খেলার খরচ যোগানোর মত টাকা পয়সা।

   

বাবা ছিলেন বাস ড্রাইভার, করোনার কারণে আপাতত বন্ধ তার রোজকার। মা মূলত ঘরের কাজ করেন। সেখান থেকে পরিবারের খরচ চালিয়ে বক্সিংকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সত্যি কঠিন ছিল দুর্গার পক্ষে। তবে তার বোন বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের কাজ করেন, আর আরেক ভাই খেলেন ক্রিকেট। ইতিমধ্যেই দু’বার রাজ্যস্তরে খেলে ফেলেছেন তিনি। খেলার প্রতি ভালোবাসা দুর্গার ছিল ছোট থেকেই। কিন্তু সেভাবে পরিবারের সমর্থন ছিল না।

শুধু তাই নয় নেপাল যাওয়ার জন্য স্পনসর জোগাড় করা হয়েছিল রীতিমতো কঠিন কাজ। সরকারি সাহায্য পাননি সেভাবে, আর সেই কারণে দরকার ছিল স্পনসর। শেষ পর্যন্ত গুন্ডারদেহির বিবেক চন্দ্রকর তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। নিজের জীবনের কথা বলতে গিয়ে দুর্গা নিজেই বলেন, “যদি আপনার পথ সঠিক হয়, তাহলে যে যতই বিরোধিতা করুক না কেন, স্বপ্নপূরণের জন্য এগিয়ে যাওয়ার মত ক্ষমতা রাখা উচিত। যখন আমি খেলা মাঠে এসেছিলাম পরিবারের সমর্থন ছিল না, কিন্তু আমি ছিলাম একগুঁয়ে।”

দুর্গা চন্দ্রকার,ছত্তিশগড়,ভূপেশ বাঘেল,এসবিকেএফ আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপ,নেপাল,বক্সিং,Durga Chandrakar,gold winning boxer,Chhattisgarh,Bhupesh Baghel,sports news,boxing

দুর্গা আরও জানান, শুধু বক্সিং নয় ভলিবলেও ন্যাশনাল খেলেছেন তিনি। ৫ বছর আগে কলেজের সামার ক্যাম্প থেকেই তার খেলাধুলার প্রশিক্ষণ শুরু হয়। শিক্ষক মুকেশ শ্রীবাস তাতে ক্যারাটে এবং বক্সিং করতে উদ্বুদ্ধ করেন। এর পর থেকে এখন অবধি চারটি ন্যাশনাল খেলে ফেলেছেন তিনি। এখন তার লক্ষ্য আগামী এশিয়া কাপে ভারতের হয়ে পদক জয়। ইতিমধ্যেই ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও দেখা করেছেন দুর্গার সঙ্গে। আগামী দিনে তাকে এগিয়ে যেতে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

 

Avatar
Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর