মোদি আমলে ভারতে ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা কমেছে ১০ শতাংশ ! আর পশ্চিম বাংলায় …

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা নতুন কিছু নয়। ওই সরকারের তরফ থেকেই আঁটোসাটো ব্যবস্থা নেওয়া হোক না কেন ঠিক ফাঁক ফোকর দিয়ে ঘুষ নিয়ে কাজ হাসিল করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে সরকারি আধিকারিকরা। আর একটা কথা প্রচলিত আছে ঘুষ না দিলে কাজ হাসিল হয় না। তাই তো ফাইল এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে সরে যাওয়া অবধি ঘুষ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।

সরকারি কার্যালয়ের নিচু স্তর থেকে ওপর মহল অবধি এই ঘুষ আদান প্রদান চলে। তবে সেই পরিমাণ আপাতত কমেছে গত পাঁচ বছর ধরে। মোদী সরকারের জমানা শুরু হতেই দেশে ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা কিছুটা হলেও কমেছিল, দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করতে এমনিতেই প্রধানমন্ত্রী পদে আসিন হওয়ার পর থেকে মোদী সরকার একাধিক বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন ঠিক তেমনই ঘুষ নেওয়া প্রতিরোধেও কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করেছেন

   

তাই ইন্ডিয়া করাপশনের সমীক্ষায় বলছে গত বছরের তুলনায় এ বছর ঘুষ নেওয়ার পরিমাণ দশ শতাংশ কমেছে। যদিও শুধুমাত্র গত বছরেই নয়, মোদী সরকারের আমলে যে ঘুষ নেওয়া আসতে আসতে কমছে তা বোঝা গিয়েছিল আগে থেকেই। তবে ইন্ডিয়া করাপশন সার্ভে 2019 এর তথ্য অনুযায়ী 20 টি রাজ্যের প্রায় দু লক্ষ ব্যক্তির মতামত নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।

আর সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে দিল্লি হরিয়ানা পশ্চিমবঙ্গ কেরল গোয়া এবং ওড়িশার মানুষ কম ঘুষ নিচ্ছেন, যদিও তুলনামূলকভাবে রাজস্থান বিহার উত্তরপ্রদেশ তেলেঙ্গানা কর্ণাটক তামিলনাড়ু ঝাড়খণ্ড ও পাঞ্জাবে ঘুষ নেয়ার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে ওই সমীক্ষার দাবি এক বছরে কাজ শেষ করতে 33 শতাংশ মানুষ ঘুষ দিয়েছে।

তবে কাজ শেষ করতে ঘুষ দিলেও জমি সংক্রান্ত পঞ্জিকার পুলিশ বা পুরসভা এগুলিতে ঘুষের দেওয়ার পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। অন্য দিকে কর দেওয়ার ক্ষেত্রেও ঘুষের পরিমাণ কমেছে বলেও দাবি করেছেন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা। উল্লেখ্য সম্প্রতি ঘুষ নেওয়ার অপরাধে আয়কর বিভাগের 21 জন আধিকারিককে ছাঁটাই করেছে কেন্দ্র। তাঁদের বিরুদ্ধে আরও অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত খবর