ক্যাব প্রতিবাদ: দেশের সামগ্রিক দুরাবস্থা নিয়ে ভারত বাঁচাও-য়ের ডাক দিল কংগ্রেস

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশ জুড়ে তোলপাড় হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদেষ একদিকে অসমের পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে গেলেও উত্তপ্ত হয়েছে মেঘালয়। মেঘালয় রাজ্যে জারি হয়েছে কার্ফু এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে। প্রথম থেকেই লোকসভায় যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হয় তখনই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছিল কংগ্রেস। এমনকি কংগ্রেসের তরফে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানানো হয়েছিল। তবে এবার শনিবার রাজধানী শহর দিল্লীতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে ভারত বাঁচাওয়ের ডাক দিল কংগ্রেস।

এই সমাবেশে মূলত দেশের অর্থাকি অবস্থা, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, কৃষকদের দুরাবস্থা সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর তোলা হবে। আর এই সভাতেই উপস্থিত থাকতে পারেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সহ সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বরা। শুধু দিল্লীর মানুষই নয় পার্শ্ববর্তী সমস্ত রাজ্যগুলি থেকে জন সমাবেশে ভিড় করার আহ্বান জানানো হয়েছে। শুধু দেশের মাটিতেই নয় ভারত বাঁচাওয়ের আঁচ ছড়িয়ে পড়ছে বিদেশেও।

তাই কংগ্রেসের শাখাগুলি এবার বিদেশের মাটিতেও ভারত বাঁচাও আন্দোলন গড়বে। অন্যদিকে শনিবার সমাজের বিশিষ্ট জনেরা, লেখিকা থেকে কবিরা সকলে শনিবার প্রেসক্লাবে একটি শান্তি বার্তা সভার আয়োজন করেছেন। বিকেল পাঁচটা থেকে প্রতিবাদ সভা শুরু হবে বুদ্ধিজীবিদের। আর সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন শুভাপ্রসন্ন, অরিন্দম শীল, সুবোধ সরকার, আবুল বাশার, মনোজ মিত্র, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী-সহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে উলুবেড়িয়া স্টেশন চত্বর। এমনকি ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিশিষ্টজন শুভাপ্রসন্ন জানিয়েছেন, ‘বিভাজনের ভয়ংকর রাজনীতি চলছে। বিশেষ করে বাংলা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু রাজ্যে মানুষেরা আতঙ্কিত। কোথাও যেন একটা সাম্প্রদায়িকতার উসকানি। এতে আমারা ভয়ংকর ভাবে ভীত, সন্ত্রস্ত।’

সম্পর্কিত খবর