SIT এই ধরণের অভিযোগের তদন্ত করতে পারে না! হাইকোর্টে দাবি রাজ্যের, বড় নির্দেশ দিয়ে দিল আদালত

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিটের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh) এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য (Government of West Bengal)। এবার সেই মামলাতেই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের দাবি, সিট এই ধরণের অভিযোগের তদন্ত করতে পারে না।

কোন মামলায় এই দাবি রাজ্যের? (Calcutta High Court)

কয়েক মাস আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সংগঠনের বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিক্ষোভের মুখে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অভিযোগ ওঠে, তাঁর গাড়ির নীচে এক ছাত্র চাপা পড়েছে। এর প্রতিবাদে বাংলার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দেয় এসএফআই।

সেই ধর্মঘটের দিনই মেদিনীপুর মহিলা থানার পুলিশ মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাঁদের ওপর অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, থানার সেই সময়কার ওসি সাথী বারিক ওই শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করে হুমকি দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ দিতে হবে আপার প্রাইমারি কাউন্সেলিংয়ে সুযোগ! SSC-র এই চাকরিহারাদের নিয়ে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

এরপর এই ইস্যু পৌঁছয় কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে আইপিএস মুরলীধরের নেতৃত্বে সিট (SIT) গঠন করার নির্দেশ দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সিট প্রাথমিকভাবে জানায়, তারা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের কিছু তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন। এরপর সিটের হাতেই তদন্তভার দেয় উচ্চ আদালত।

Calcutta High Court

রাজ্য আবার সিঙ্গেল বেঞ্চের এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। মঙ্গলবার সেখানেই রাজ্যের দাবি, সিট এই ধরণের অভিযোগের তদন্ত করতে পারে না। তাই এক্ষেত্রে সিঙ্গেল বেঞ্চের দেওয়া রায় লাগু হওয়া উচিত নয়।

এদিন রাজ্যের কাছে এফআইআরের কপি চেয়েছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু রাজ্য সেটা দেখাতে পারেনি। আগামী ১৭ জুন রাজ্যকে এফআইআরের কপি নিয়ে আদালতে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।