জনগণের ভোটে জিতে পদত্যাগ কেন, আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে শোভনদেব

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভবানীপুরের (Bhowanipore) উপনির্বাচন যার কারণে সম্ভব হয়েছে, তিনি হলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা ভবানীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)। উনি একুশের নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে ভবানীপুর থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর উনি পদত্যাগ করার কারণেই এখন ভবানীপুরে উপনির্বাচন হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী করে মুখ্যমন্ত্রী বানাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শোভনদেববাবু।

তবে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে ঠিক ভাবে নেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চ এদিন সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করে, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জনগণের ভোটে জয়ী হয়েও পদত্যাগ করলেন কেন? আদালত এও বলেছে যে, একটা নির্বাচন করতে অনেক অর্থের দরকার হয়। ভোটে যা অর্থ খরচ হয়, সব জনগণের। তাহলে নির্বাচিত হওয়ার পর পদত্যাগ কেন?

উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে খোদ তৃণমূল নেত্রী হাইকোর্টে মামলা করেছেন। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে কোনও না কোনও একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতেই হত। যেহেতু ভবানীপুর ওনার ঘরের আসন। সেই কারণে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সেই আসন থেকে পদত্যাগ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন।

Sovandeb Chatterjee 41

তবে শোভনদেবকেও খালি হাতে ছাড়ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। খড়দহের আসন থেকে ইতিমধ্যে শোভনদেবকে প্রার্থী করার ঘোষণা করেছেন তিনি। খড়দহে তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু গণনার আগেই তিনি প্রয়াত হন। আর সেই কারণে ওই আসনটি ফাকা হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে ওই কেন্দ্র থেকেই লড়বেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

 

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর