জাতীয় সড়ক দখলমুক্ত করতে মরিয়া কেন্দ্র! রাজ্যকে চিঠি পাঠানোয় ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে কয়েকদিন পূর্বেই ‘উচ্ছেদ অভিযান’ প্রসঙ্গে বড়সড় মন্তব্য প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, “পুনর্বাসন দেওয়া ছাড়া কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।” তবে এর মাঝে এবার রাজ্য সরকারের নিকট একটি চিঠি প্রদান করে বসলো কেন্দ্র। উক্ত চিঠিতে জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী সকল দোকান, রেস্তোরাঁ এবং বেআইনি ধাবা সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতীন গড়করি আর তার কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের চিঠি প্রদান যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “জাতীয় সড়কের ধারে দোকানঘর, ঝুপড়ি এবং বেআইনি জিনিসগুলি যদি না সরানো হয়, তাহলে যান নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যার সৃষ্টি হবে।” সূত্রের খবর, দেশের প্রতিটি রাজ্যের মুখ্য সচিবদের এই চিঠি প্রদান করা হয়েছে।

সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রের তরফ থেকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে, যাতে তারা সকল দখলদারদের সরানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে উচ্ছেদ অভিযানে নামার পূর্বে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হতে চলেছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “রাজ্য সরকারের অনুমতি না নিয়ে কাউকে তার জমি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকার, বন্দর, খনি কিংবা রেল, যে জমিই হোক না কেন। সরকারের অনুমতি ছাড়া কিছু করা যাবে না। এটা আমাদের সরকারের নীতি।” ফলে স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্র বনাম নবান্ন সংঘাতের সম্ভাবনা একপ্রকার নিশ্চিত।

এর মাঝেই এদিন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক (বাংলা) জানান, “জাতীয় সড়কের পাশে যে সকল রেস্তোরাঁ, ধাবা কিংবা দোকান ঘর রয়েছে, তা সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের তরফ থেকে যদি সাহায্য না মেলে, তাহলে আদালতের নিকট উপস্থিত হতে হবে।”

all india trinamool congress,Bharatiya Janata Party,national highway,eviction,west bengal,mamata banerjee,nitin gadkari,shantanu sen

দিও এক্ষেত্রে কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই। বর্তমানে দেশে বেকারত্বের হার সর্বাধিক। সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে চলেছে সরকার। শুধু মানুষের জীবনের দাম ক্রমাগত নীচে নেমেছে।”

Avatar
Sayan Das

সম্পর্কিত খবর