ভারতের ৬০ কিমি জমি কবজা করে নিয়েছে চীন! তথ্য শেয়ার করে দাবি রাহুল গান্ধীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পূর্ব লাদাখের (Ladakh) ভারত (india) এবং চীনের (china) মধ্যে অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে জুনে ফের আলোচনা হবে। ভারত ও চীনের মধ্যে এই কথোপকথনের আগেই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেলকে প্রতিবেদনে শেয়ার করে লিখলেন, আমরা অবিশ্বাসের দুনিয়ায় থাকতে পারি না। প্রসঙ্গত, এর আগেও দুই বার কেন্দ্রকে লাদাখ সীমান্ত নিয়ে খোঁচা দিয়ে তোপ দেগেছিলেন রাহুল।

   

লেঃ জেনারেল এইচএস পানাগ বলেছেন যে, জুনে আলোচনায় চীনের হাত থাকবে। পানাগ আরও বলেন যে, চীন ইতিমধ্যে পূর্ব লাদাখের তিনটি বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ৬০ বর্গকিলোমিটার ভারতীয় জমি দখল করে রেখেছে। জুনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চীন ভারতের সামনে চুক্তির জন্য এমন শর্ত রাখার চেষ্টা করবে, যা ভারতের পক্ষে মেনে নেওয়া খুব কঠিন হবে। পানাগ আরও দাবি করেছেন যে, ভারত যদি চীনের শর্ত মেনে না নেয় তবে তারা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যুদ্ধও করতে হতে পারে।

রাহুল গান্ধী টুইটের প্রতিবেদনে বলেন, পূর্ব লাদাখে সামরিক উত্থান নিয়ে ৬ জুন ভারত ও চিনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক বৈঠক হতে পারে। রাহুল গান্ধী আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং স্বীকার করেছেন যে, ভারত-চিন সীমান্তে বহু সংখ্যক চিনা সৈনিক উপস্থিত হয়েছে।’ দুই দিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার কি এটা নিশ্চিত করতে পারে যে, কোনও চিনা সৈনিক ভারতে প্রবেশ করেনি।’ পাশাপাশি সেবারও তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন জুড়ে দিয়েছিলেন টুইটে।

এদিকে লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত ভারত। আর এই শান্তি প্রক্রিয়া ও আলোচনার দায়িত্ব গিয়ে পড়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিংয়ের উপর। লাদাখের লেহ-তে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ১৪ নম্বর কোর গ্রুপের কমান্ডর লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং।

লাদাখ সীমান্তে বিগত প্রায় একমাস ধরে ভারত-চিন সেনার মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে পরিস্থিতি। এরই মাঝে ভারতে অনুপ্রবেশেরও চেষ্টা করে চিন। চিনের এই আগ্রাসন রুখতে ৬ জুন দুই দেশের মধ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ে বৈঠক হবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এদিকে চিনের প্ররোচণা সত্ত্বেও পিছু হটতে নারাজ ভারতও। কাশ্মীর থেকে ব্যাপক সংখ্যায় সেনা লাদাখ সীমান্তে পাঠানো হয়েছে। তবুও এই বিবাদ শান্তিপূর্ণ ভাবে মেটানোর পক্ষেই ভারত।

সম্পর্কিত খবর