রিপোর্টঃ উইঘুর মুসলিমদের বৌদ্ধ ধর্ম আপন করতে বাধ্য করছে চীন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চীনের (China) সরকার উইঘুর মুসলিমদের (Uyghur Muslim) সাথে ঠিক তেমনই ব্যবহার করে, যেমন সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়দা (Al-Qaeda) অ-মুসলিমদের সাথে করে। আল্বেনিয়ার ইতিহাসবীদ ওলসি জজ্জি বলেন, শিনজিয়াং প্রান্তে উইঘুর মুসলিমদের আস্থা আর জনসংখ্যা বদলানোর জন্য চীন উঠেপড়ে লেগেছে।

   

২০১৯ এর নিজের শিনজিয়াং সফরের কথা উল্লেখ করে জজ্জি বলেন, ব্রেনওয়াশ আর জেলে বন্দি রাখা ছাড়াও চীন দ্বারা বিশাল সংখ্যক উইঘুর মুসলিমদের আলাদা করে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর এর প্রধান কারণ হল শিনজিয়াং প্রান্তে জনসংখ্যা বদলে দেওয়া। তিনি বলেন, আমি যখন সেখানে ছিলাম তখন আমি দেখেছি যে সেখানে মুসলিমদের সাথে কি করা হয়। আমি ওদের বলেছিলাম যে, তালিবান, আলো-কায়দা আর ওদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। ওঁরা তাই করছে, যেটা এই সংগঠন গুলো অ-মুসলিমদের সাথে করে আসছে। জজ্জি বলেন, চীনের সরকারের উদ্দেশ্য হল উইঘুর মুসলিমদের কনফুসিয়ানিজম এবং বৌদ্ধ সংস্কৃতিতে রূপান্তরিত করা।

জজ্জি জানান, চীনের সরকার সরাসরি বলেছে যে ইসলাম একটি বিদেশী ধর্ম আর উইঘুরদের আসল ধর্ম হল বৌদ্ধ ধর্ম। চীনের সরকার জোর করে তাঁদের বৌদ্ধ ধর্ম আপন করতে বাধ্য করছে। উইঘুর শিবিরের পরিস্থিতি নিয়ে জজ্জি বলেন, আপনি এই শিবির গুলোকে বাইরে থেকে দেখলে খুব ভালো লাগবে। আপনি বাইরে থেকে উন্নয়ন দেখবেন, সবাই কাজ করছে সেটাও দেখবেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য সম্পূর্ণ আলাদা।

সেখানে মানুষদের ধার্মিক পরিচয় বদলানোর জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। শিবিরে শি জিনপিং জিন্দাবাদ, কমিউনিস্ট পার্টি জিন্দাবাদের স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়। তাঁদের মাতৃ ভাষার বদলে ওদের চীনা ভাষা বলার জন্য বাধ্য করা হয়। আর এটা শুধু উইঘুরদের সাথেই না, শিনজিয়াং প্রান্তে থাকা প্রতিটি মুসলিমের সাথে করা হয়।

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর