বেজিং থেকে ইসলামিক ও আরবি চিন্হ মুছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চীনা সরকারের।

চীন মুসলমান ও আরবী ধর্ম ইসলামকে নিয়ে একটি কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জিনপিং দ্বারা চলা চীনী সরকার চীনের রাজধানী বেজিংতে ইসলামের থেকে সম্পর্কিত সব ছাপ মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে চীন নিজের অনেকগুলি এলাকাতে মুসলমানদের ক্যাম্পে বন্দি বানিয়েছিল। শুধু তাই নয় বহু জায়গায় মসজিদও ধ্বংস করেছে চীনের সরকার। চীন মুসলিমদের উপর বহু বছর থেকেই অত্যাচার বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু এখন চীন নিজের রাজধানীকে মুসলিম ছাপ থেকে পুরোপুরি মুক্ত করতে চায়। তবে বেজিংয়ে মুসলমানদের ছাপ প্রায় কোথাও নেই বললেই চলে এবং মুসলমানদের সংখ্যাও খুবই কম। কিন্তু চীনী সরকার ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কিছু অংশ বা ছাপ আর দেখতে চায় না।

চীনি প্রশাসন বেজিংয়ের সব এলাকায় নজর গেড়ে বসে আছে। এখন প্রায় প্রত্যেকদিন রেস্টুরেন্ট ও ঘরে ইসলামের কোনো ছাপ আছে কিনা তার তদন্ত করা হয়। আরবী ভাষায় কোনো লেখা পাওয়া গেলে বা ইসলাম সম্পর্কিত কোনো সিম্বল পাওয়া গেলে সেটি মিটিয়ে দেওয়া হয়। নিউজ সংস্থা রাইটার্স অনুযায়ী চীন সব ঘর ও রেস্টুরেন্টকে আদেশ দিয়েছে নিজেদের কাছে কোনো ইসলামিক সিম্বল বা লেখা রাখা যাবে না এবং যদি আরবি ভাষায় কোনো লেখা থাকে সেটিও মুছে ফেলতে হবে নাহলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সম্প্রতি বেজিং এর একটি দোকানে আরবী ভাষায় কিছু লেখা ছি। চীনের স্থানীয় লোকেরা সেই লেখাকে মুছে দেয় এবং দোকানের মালিককে বলে যে এটি বিদেশি সংস্কৃতি, আর তোমাকে চীনী হিসাবেই থাকতে হবে, বিদেশি সংস্কৃতি এখানে চলবে না। জানিয়ে দি, এর আগে চীনী সরকার আরবী ভাষায় কোরানকে ব্যান করে দিয়েছিল। চীনী সরকার বলেছেন যে ইসলামও  চীনী সংস্কৃতি অনুযায়ী হবে। আগে চীনে মুসলমানদের জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ছিল আর এখন সেটি কমে গিয়ে ২ কোটিতে পরিণত হয়েছে। তবে চীনে মুসলিমদের উপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে রাজি নয়।

সম্পর্কিত খবর