বড় প্ল্যান চিনের! ৫ বছরের মধ্যেই চাঁদে বাড়ি তৈরি করবে বেজিং, প্রকাশ্যে এল সমগ্ৰ পরিকল্পনা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: “চাঁদ” (Moon)-কে নিয়ে বিশ্ববাসীর মধ্যে আগ্রহের শেষ নেই। পাশাপাশি, বিজ্ঞানীরাও চাঁদকে ঘিরে একের পর এক গবেষণা চালাচ্ছেন। এদিকে, এতদিন যাবৎ আমরা চাঁদে জমি কেনার খবর মাঝেমধ্যেই শুনেছি। তবে, এবার এমন একটি তথ্য সামনে এসেছে যেটি জানার পর রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন সকলেই। জানা গিয়েছে, এবার চাঁদে বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, চিন (China) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেখানে একটি ঘাঁটি তৈরি করতে চায়।

ইতিমধ্যেই তারা সেখানে নির্মাণের পরিকল্পনা করার পাশাপাশি এই কাজের প্রস্তুতিও শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। চিনের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী ৫ বছরের মধ্যে চাঁদের মাটি ব্যবহার করে লুনার বেস (Lunar Base) তৈরি করা। এই প্রসঙ্গে চিনের স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, ১০০ জনেরও বেশি চিনা বিজ্ঞানী, গবেষক এবং স্পেস কন্ট্রাক্টর সম্প্রতি চিনের উহানে একটি কনফারেন্সে অংশ নেন। যেখানে আসন্ন মিশন সম্পর্কে তথ্য জানানোর পাশাপাশি চাঁদে ইনফ্রাস্ট্রাকচার স্থাপনের পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

   

চাংজিয়াং ডেইলি অনুযায়ী, চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিশেষজ্ঞ ডিং লিয়ুন জানিয়েছেন যে, একটি টিম চাঁদের মাটি থেকে ইট তৈরির জন্য “চাইনিজ সুপার ম্যাসনস” (Chinese Super Masons) নামে একটি রোবট ডিজাইন করছে। পাশাপাশি রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ডিং মনে করেন যে এত অল্প সময়ে এই লক্ষ্য অর্জনে অসুবিধা হবে। কারণ, জলের অভাব, কম মাধ্যাকর্ষণ, ঘন ঘন ভূমিকম্প এবং চাঁদে তীব্র মহাজাগতিক বিকিরণ সমস্যা তৈরি করবে। তবুও, তিনি আশাবাদী যে দীর্ঘমেয়াদী লুনার এক্সপ্লোরেশনের জন্য, চাঁদে একটি বাসস্থান প্রয়োজন এবং ভবিষ্যতে অবশ্যই এই ভাবনার উপলব্ধি করা হবে।

ডিং জানান যে, চাঁদের মাটি থেকে ইট তৈরি করার রোবটটি ২০২৮ সাল নাগাদ চিনের Change -8 মিশনের সময় লঞ্চ করা হবে। অর্থাৎ, চাঁদের মাটি থেকে প্রথম ইট তৈরি করা হবে, যেটি সম্পন্ন হবে চাঁদেই। এছাড়াও ২০২৫ সাল নাগাদ একটি মিশনের মাধ্যমে চাঁদের সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চল থেকে মাটির নমুনা নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে চিনের। সংবাদমাধ্যমের মতে, ২০২০ সালের Change-5 মিশনের সময় চিন ইতিমধ্যেই চাঁদের কাছাকাছি অংশ থেকে মাটির নমুনা এনেছে।

snbrhbrigvvzjxnguutcck

এদিকে, ২০২৬ সালে, Change-7 মিশন চালু করা হবে। যা দক্ষিণ মেরুর অ্যাটকেন বেসিনে অবতরণ করবে এবং ক্রেটার্সের নিচে জলের বরফের সন্ধান করবে বলেও জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, চিন আসলে চায় লুনার রিসার্চ স্টেশন স্থাপন করার পরে তার অ্যাস্ট্রোনটরা যাতে দীর্ঘসময় যাবৎ চাঁদে অবস্থান করতে পারে। উল্লেখ্য যে গত সপ্তাহে, চিনের বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ উহানের হুয়াজং ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে অনুষ্ঠিত Extraterrestrial Construction Conference-এ অংশগ্রহণ করেছিলেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর