চীনের সঙ্গ দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ল নেপাল, আবারও ভারতকে ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করার অনুরোধ করল চীন সরকার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিনা কারণে ভারতের (India) সঙ্গে ঝামেলার পরিণাম যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা হাড়ে হাড়ে টের পেল নেপাল (Nepal)। পাম তেলের নির্মাণ না করেও নেপাল, দক্ষিণ এশিয়ার ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্টের উলঙ্ঘন করছিল। ভারত এই বিষয়টা বুঝতে পেরে গত ১১ ই মে নেপালে পাম তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারী করে। এরপরই শোনা যায় নেপাল সরকার ভারতের বাজারে চা এবং পাম তেলের রপ্তানি চালিয়ে যেতে চাইছে।

নেপালের চিঠি ভারতকে
সূত্র মারফত জানা যায়, নেপাল সরকার এক পত্র লিখে ভারত সরকারকে অনুরোধ করে নেপালী ব্যবসায়ীদের ভারতের বাজারে চা এবং পাম তেল রপ্তানির সম্মতি দেওয়া হোক। বাণিজ্য মন্ত্রালয়ের পক্ষ থেকে জানা যায়, নেপাল সরকার দুই আলাদা আলাদা পত্র পাঠিয়ে ভারত সরকারের কাছে এই অনুরোধ করে।

মালেয়শিয়ার মতো ভুল করল নেপাল
ভারতের শত্রু পক্ষ চীনকে সাহায্য করতে গিয়ে প্রতিবেশি দেশের বিরুদ্ধে গিয়েছিল নেপাল। যার ফল এখন ভুগতে হচ্ছে নেপাল সরকারকে। ৩৭০ ধারা পাশ হওয়ার পর মালেয়শিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভারতের বিপক্ষে গিয়ে, যে ভুলটা করেছিল, সেই পথেই আরও একবার হাঁটল নেপাল। গতবছর অগস্ট মাসে UN-এ কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে মালেয়শিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি দিল্লীকে বড়ো ধাক্কা দিতে চেয়েছিল।

সরানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে
মালেয়শিয়ার এই কর্মকান্ডের জেরে শুধুমাত্র পাম তেলই নয়, অর্থনীতিও প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। শেষমেশ মালেয়শিয়ার নাগরিকদের রোষে পরে প্রধানমন্ত্রী মহাতির মহম্মদকে সরিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী পদে মহিউদ্দিন ইয়াসিনকে নির্বাচন করা হয়। নতুন প্রধানমন্ত্রী কিন্তু পূর্বের মতো কোন ভুল না করে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার দিকে মনোনিবেশ করেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী,ভারত জানিয়েছে মালেয়শিয়া যদি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে ভারত তাঁদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখবে।

ভারতের সঙ্গে নেপালের মতো পার্থক্য
এতকিছুর পরও ভারতের ধার্চুলা লিপুলেক রোডের সীমান্তে নেপাল সরকার ভারতের বিরোধীতা করে, নেপালের পক্ষ নেয়। শুধুমাত্র ভারতের বিরোধীতাই নয়, ভারতের লিপু লেক, কালাপানি এবং অলম্পিয়াকে নেপাল সরকার তাঁদের মানচিত্রের অংশ বলে ঘোষণা করে। এছাড়াও নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কিছু বিস্ফোরক মন্তব্যে নেপাল এবং ভারতের মধ্যেকার সম্পর্কে ফাটল ধরে।

নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি রাগ করেন, তাতে আমরা কিছু যায় আসে না। কোন কিছুর বিনিময়েও আমরা পিছু হটব না’। এখানেই শেষ হয়, নেপালের প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাসের জন্য তো ভারতকেই দোষী বলে মনে করছেন। তাঁর বক্তব্যে, ভারতের থেকে আগত করোনা ভাইরাস, ইটালি এবং চীনের থেকে আগত ভাইরাসের থেকে বেশি ক্ষতিকারক। ভারত বিনা টেস্টিং -এই, নাগরিকদের দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর