নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, বন্ধ ইন্টারনেট! কোটি কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে টেলিকম সংস্থাগুলি

বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রায় টানা এক মাস ধরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গ উত্তরপ্রদেশ দিল্লি অসম ত্রিপুরা মেঘালয় দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে তাই যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ রাখা হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা।

গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি জেলা এর পর উত্তরপ্রদেশ অসম কর্ণাটক সর্বত্রই দফায় দফায় যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল তাতে এক প্রকার ভয়াবহ আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে টেলিকম সংস্থাগুলিকে। এমনিতেই বেশ কয়েকটি টেলিকম সংস্থার হাল হকিতক একেবারেই খারাপ কিন্তু তাঁর উপরে যে ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকে বন্ধ রাখা হয়েছে তার জন্য বৃহত্তম তিন তিনটি টেলিকম সংস্থার প্রতি ঘণ্টায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে 2 কোটি পঁয়তাল্লিশ লক্ষ টাকা।

   

জানা গিয়েছে এখনও অবধি উত্তর প্রদেশের মোট আঠারটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে যদিও এর আগে 22 জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল অন্যদিকে অসম ও মেঘালয়ের ক্ষেত্রেও তাই অবস্থা। পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদ মালদহ হাওড়া উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং নদিয়া সহ বেশ কিছু জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল এমনকি অনেক দিন আগে থেকেই কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে আর সেভাবে গড় হিসেবে টেলিকম সংস্থাগুলি 2 কোটি পঁয়তাল্লিশ লক্ষ টাকা লোকসান হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।

আসলে সমীক্ষায় দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে ভারতে ব্যবহার রয়েছে সর্বোচ্চ কিন্তু এই কয়েক দিনে যে ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে তাতে ভোডাফোন আইডিয়া ভারতী এয়ারটেল এবং রিলায়েন্স জিও তিনটি কোম্পানির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

 

 

সম্পর্কিত খবর