রেশনে নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ, সেন্ট্রাল গোডাউনে হানা দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র পারিষদের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশজোড়া লকডাউনের (lockdown) মধ্যে কালোবাজারির অভিযোগ উঠল দুর্গাপুর ইস্পাত কোঅপারেটিভের সেন্ট্রাল (Durgapur Steel Cooperative Central)  গোডাউনের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় এই গুদাম থেকে দুর্গাপুর শহরের মোট ৩৮টি রেশন দোকানে চাল, ডাল, গম ও বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

   

দুর্গাপুর পুরনিগমের মেয়র পারিষদ অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Amitabh Bandyopadhyay)  নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার আচমকাই হানা দেওয়া হয় এই গুদামে। দুর্গাপুর পুরনিগমের কর্মীরা গুদামে গিয়ে কোঅপারেটিভের সদস্যদের নিয়ে বিভিন্ন জিনিসের হিসাব মেলাতে শুরু করেন। তখন ব্যাপক গরমিল দেখা যায়। গোটা বিষয়টি রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়কে জানান অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান যে সব হিসাব মন্ত্রীকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তিনি এফআইআর করবেন।

করোনাভাইরাস (corona virus) সংক্রমণের জেরে সারা দেশে যখন লকডাউন চলছে তখন সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে কালোবাজারির অভিযোগও তুলেছেন মেয়র পারিষদ। তিনি বলেন, “যখন যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকে এরা তখন সেই রাজনৈতিক দলের হয়ে যায়। এরা দুর্গাপুর শহরের ৮০ শতাংশ রেশন দোকানে পণ্য সরবরাহ করে। এদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর পাচ্ছিলাম। তাই অভিযান চালিয়েছি। স্টক মেলানোর জন্য যখন স্টক রেজিস্টার তুলে নিয়েছি তখন ওঁরা জানান যে স্টক সব তোলা হয়নি। ব়্যাকে জিনিস ঠিক নেই। রাজ্য সরকারের দেওয়া চাল, গম ও চিনির হিসাবও ঠিক নেই এমনকি জিনিসের কোয়ালিটিও ঠিক নেই। রাজ্য সরকার এগুলি পাঠিয়েছে আপৎকালীন সময়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য। মানুষ যখন খেতে পাচ্ছেন না তখন এরা কালোবাজারি করছে।” এখান থেকে মাল পাচার হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

মেয়র পারিষয়দের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সমবায় সমিতির নির্দেশক কমলজিৎ সিং (Kamaljit Singh) । তিনি জানান যে করোনার জেরে কর্মীরা আসছেন না বলে সমস্ত হিসাব খাতায় তোলা হয়নি। তিনি বলেন, “সোমবার থেকে দোকানে দোকানে পণ্য দেওয়া শুরু করেছি কিন্তু মূল অফিস বন্ধ থাকায় সব নথিভুক্ত করা যায়নি।” জিনিসের গুণমান নিয়ে মেয়র পারিষদের করা অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেছেন। সব হিসাব তিনি শীঘ্রই ইমেল করে দিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

গুদামে গরমিল দেখার পরে অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Amitabh Bandyopadhyay) নেতৃত্বে এই সমবায় সমিতির অধীনে বেশ থাকা কয়েকটি রেশন দোকানেও হানা দেন পুরকর্মীরা। শুক্রবার বিস্তারিত জানা যাবে।

সম্পর্কিত খবর