বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আর নয় অনেক হয়েছে, এবার কড়া হাতে রাশ টানতে চাইছে কংগ্রেস (congress)। অন্যদিকে পুরনো জোটসঙ্গীর সঙ্গে মুষড়ে পড়া সম্পর্কে আবারও ঝালিয়ে নিতে চাইছে হাইকমান্ড। এমনকি, চারটি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের ফাঁকা থাকা আসন নিয়ে যদি বামেরা (cpim) প্রচারে ডাকে, তাহলে সেখানেও হাজির হতে পারে কংগ্রেস, এমনটাই জানা গিয়েছে।
সিপিএমের জোট শেষ করার মনোভাব থাকলেও, এবার তাঁদের দিকেই মন ঘুরিয়েছে দিল্লীর হাইকমান্ড। তৃণমূলের প্রতি আর নরম মনোভাব নয়, নেওয়া হবে কঠোর পদক্ষেপ। প্রয়োজনে পুজো শেষ হতেই আলিমুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।
দিল্লী গিয়ে বিরোধী জোট গঠন করার বার্তা দিয়ে এলেও, বাংলায় ফিরেই অন্যরূপ দেখাচ্ছে তৃণমূল শিবির। উপনির্বাচনের প্রচার মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেতৃত্বরা একের পর এক তোপ দেগেছে কংগ্রেসের দিকে। সেসব দেখে দিল্লীতে মোদী সরকাররে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর গোপন আঁতাত করার অভিযোগও করেছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী।
অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, ‘দিল্লীতে শাসকদলের সঙ্গে গোপন আঁতাত করেই, বাংলায় কংগ্রেসের ক্ষতি করতেই এমন কাজ করছে তৃণমূল। বিজেপি যে কংগ্রেস মুক্ত ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখছে এবং তৃণমূলের কংগ্রেসমুক্ত বাংলা গড়ার স্বপ্ন কোনদিন সত্যি হওয়ার নয়।
এসবের মধ্যে পরে শেষে অধীররঞ্জন চৌধুরী রাজী হলেও, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভবানীপুরে প্রার্থী দিতে চায়নি হাইকমান্ড। তাহলে কি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ভুল ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে অধীরবাবু বলেন, ‘বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। আর কংগ্রেস সৌজন্য দেখাতে জানে বলেই, মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি’।