বিধ্বংসী বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ, মৃত বহু, কাকতালীয়ভাবে নাম জোরালো পাকিস্তানের!

 

বাংলা হান্ট ডেস্ক : এরই মধ্যে আলোচনায় এসেছে পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম। ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ট্রপিক্যাল সাইক্লোনগুলোর নাম দেয়ার রীতি শুরু হয়েছে ২০০৪ সাল থেকে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর ভিত্তি করে আঞ্চলিক কমিটি গঠন করে। এই আঞ্চলিক কমিটিকে সেই অঞ্চলের সদস্য দেশগুলো ঝড়ের বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করে। ভারত মহাসাগরে হওয়া সমস্ত ঝড়ের ক্ষেত্রে এই নামকরণের দায়িত্ব বর্তায় ৮টি দেশের ওপর।

ভারত, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা-এই দেশগুলো পালা করে ঝড়গুলোর নামকরণ করে। সেই ক্রমে বুলবুলের নামকরণ করেছে পাকিস্তান। আর এর পরের ঝড়টির নাম হতে চলেছে ‘পবন’। এই নামকরণটি করেছে শ্রীলঙ্কা।

Pakistan s Prime Minister Imran Khan 16acbcbf994 large
এর আগে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডর এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলা একইভাবে সুন্দরবনে বাধা পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। সুন্দরবনের মতো এত বড় বন ধ্বংস করা সম্ভব না- এমন ধারণায় যারা বিশ্বাস করেন তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।
পশ্চিমবঙ্গ যে ভাবে বুলবুলের মোকাবিলা করেছে, তার প্রশংসা করেছে ভারত সরকার। সোমবার কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার সকালে আকাশপথে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত নামখানা-বকখালি-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝঞ্ঝা বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখার পর, কাকদ্বীপে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই মমতা জানান— কেন্দ্রীয় একটি পর্যবেক্ষক দল রাজ্যে আসছে। তাদের সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন জেলা আধিকারিকদের। বুলবুলে মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যসচিব রাজীব সিংহকে পাশে নিয়ে তিনি জেলার বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত খতিয়ান চান মমতা। হেলিকপ্টার থেকে দেখা অভিজ্ঞতা থেকে বলেন— উপকূলবর্তী এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পান এবং ধান উপকূলবর্তী এলাকায় ১০০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সম্পর্কিত খবর