বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলা নির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার পর এবার ত্রিপুরাকে টার্গেট করেছে তৃণমূল। সংগঠনকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। একদিকে যেমন আইপ্যাকের টিম সার্ভের উদ্দেশ্যে পা দিয়েছে ত্রিপুরায়। তেমনি অন্যদিকে বাংলায় নির্বাচন শেষ হতে না হতেই ত্রিপুরায় শোনা গেছে, ‘ত্রিপুরা কইতাসে মমতাদি আইতাসে’। শুধু তাই নয় তৃণমূলের (TMC) একাধিক নেতা মন্ত্রী, এখন ত্রিপুরায় সংগঠন মজবুত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আইপ্যাকের (I pac) সঙ্গে ঘটা ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় পৌঁছেছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (Retabrata Bandopadhyay ), ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), মলয় ঘটক (Malay Ghatak), ডেরেক ও’ব্রায়েনরা (Derek O’Brien)। গত কাল রাতে কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ দাস, রাজ্যের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক, আগরতলা পৌরপরিষদের প্রাক্তন কাউন্সিলর পান্না দেব-সহ সাত জন তৃণমূলে যোগও দিয়েছেন। যার জেরে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বেশ আশার আলো দেখছে তৃণমূল। অন্যদিকে সোমবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি (Abhishek Banerjee)। তার আগেই এবার ত্রিপুরায় পাঠানো হলো যুবনেতাদের।
দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে এবার আগরতলা পৌঁছাবেন ‘খেলা হবে’ গানের লেখক তথা তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। সঙ্গে থাকছেন সুদীপ রাহা এবং জয়াও। তাদের এই আগমনকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্ব। বাংলা নির্বাচনে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছিল খেলা হবে স্লোগান। এবার ত্রিপুরাতেও এই স্লোগান দিয়ে বাজিমাত করতে চায় তৃণমূল। আর তাই যুবকদের আরও বেশি আগ্রহী করে তুলতে এবার ত্রিপুরায় দেবাংশু অস্ত্র ব্যবহারে মনোযোগ দিল ঘাসফুল শিবির।
মুকুল রায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের পর ত্রিপুরায় সংগঠন বেশ কিছুটা ভেঙে পড়েছিল তৃণমূলের। বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পরিচিত মুখ সুদীপ রায় বর্মনও। এখন তিনিও বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ বলেই শোনা যাচ্ছে। স্পষ্ট করে কিছু বলা না হলেও সূত্রের খবর অনুযায়ী তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সুদীপ রায় বর্মন “বন্ধুর নাম ত্রিপুরা” বলে একটি সংগঠনও প্রতিষ্ঠা করেছেন। যার জেরে অনেকেই মনে করছেন আগামী দিনে হয়তোবা তার দূরত্ব বাড়তে পারে গেরুয়া ব্রিগেডের সঙ্গে। যদিও সবটাই এখনো জল্পনা পর্যায়ে। তবে এর আগেই অভিষেক ব্যানার্জি বলেছিলেন, এবার অন্যান্য রাজ্য জয়ের জন্য ঝাঁপাবেন তারা। আর শুধুমাত্র লক্ষ্য বিধায়ক বা আসন বাড়ানো নয়। দেবাংশুকে ত্রিপুরায় পাঠানোর মধ্যেও এই লক্ষ্যের বহিঃপ্রকাশ দেখছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।