ঠাকুরঘর সাজিয়ে তুলুন এই পদ্ধতিতে, ভগবানের আশির্বাদ ঝড়ে পড়বে আপনার পরিবারে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নিজের বাড়ি বাস্তু মেনে সাজানোর পাশাপাশি আপনি কি আপনার ঠাকুরঘরের (thakur ghar) দিকেও নজর দিয়েছেন? আপনার ঠাকুরঘরও কি বাস্তু মেনেই সাজিয়েছেন? যদি না সাজিয়ে থাকেন, তবে চটপট নজরদিন এই বিষয়গুলোর দিকে।ফলে আপনিও ভগবানের কৃপাধন্য হয়ে যেতে পারেন।

ফুল সবারই পছন্দের জিনিস। টাটকা ফুলের গন্ধে শুধু মানুষ নয়, ভগবানের মনও ভালো হয়ে যায়। তাই দেরী না করে নিজের ঠাকুরঘরকে সাজিয়ে ফেলুন টাটকা ফুল দিয়ে।

মনের মতো ফুল দিয়ে সে রজনীগন্ধাই হোক কিংবা গন্ধরাজ বা জবা অথবা গাঁদা। সবরকম ফুলই আপনার ঠাকুরঘরকে সমান সৌন্দর্য্য দেবে। জরিরমালা কিংবা শোলার মালার কৃত্রিমতার বদলে আপনার ঠাকুরঘর প্রাকৃতিক ফুলের গন্ধে পবিত্র হয়ে উঠুক।

ফুলের পাশাপাশি খড়িমাটি দিয়ে মনের মত আলপনা দিয়ে সাজিয়ে তুলুল আপনার ঠাকুরঘর, যা বাস্তুমতে অত্যন্ত শুভ। তবে বর্তমানে বাজারে যেসব স্টিকার পাওয়া যায় আলপনার সেগুলোকে এড়িয়ে চলাই ভালো। মনের ভক্তির পরিচয় আপনার প্রাকৃতিক আলপনার মধ্যেই ফুটে উঠবে। ফলত ঠাকুরের আশির্বাদের হাত সবসময়ই আপনার মাথার উপর থাকবে।

কখনো কখনো ঠাকুরঘরের বেদিতে থেকে যায় জায়গার অভাব, ফলে তা আপনার মন মত সাজাতে পারেন না আপনি। সেক্ষেত্রে সিংহাসনের সোজাসুজি দেওয়ালে কাঠের বাক্স বানিয়ে সেখানে মূর্তি সাজাতে পারেন।

ঠাকুঘরের সিঙ্ঘাসনের দুপাশে দুটি বড় পিতলের প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে তুলুন আপনার সিংহাসন। পাশাপাশি দেবদেবীর মূর্তির ছবি এবং লোক শিল্পীর আঁকা ছবি দিয়েও ঠাকুরঘর সাজাতে পারেন। নানারকম সুগন্ধি ধূপের সঙ্গে বিভিন্ন রকম রঙিন মোমবাতি দিয়ে মনের মত সাজান আপনার ঠাকুরঘর। নানারকম ডিজিটাল, এলিডি, টুনি লাইট এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

বাস্তু অনুযায়ী ইশান কোণই হল ঠাকুরঘরের জন্য উপযুক্ত স্থান। যদি আলাদা করে ঠাকুরঘর করা সম্ভব না হয়, তবে আপনার ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে ফাঁকা করে ঠাকুরঘর বানাতে পারেন।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর