গাড়িতে কন্ডোম না রাখলেই দিতে হচ্ছে জরিমানা, দাবি ক্যাব চালকদের!

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ক্যাবে কন্ডোম রাখা বাধ্যতামূলক। দিল্লির নানা প্রান্তে গুজব রটেছে, ক্যাবে কন্ডোম না রাখলে ট্রাফিক পুলিশ মোটা টাকা জরিমানা করছে। ক্যাব চালকরাও বলছেন, কন্ডোম গাড়িতে না রাখলে মোটা টাকা জরিমান দিতে হবে আমাদের। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চালু হয়েছে নতুন ট্রাফিক আইন। যদিও পশ্চিমবঙ্গে এই আইন কার্যকর করা হয়নি।

এক ক্যাব চালক ধর্মেন্দ্র কিছুদিন আগেই দাবি করেছিলেন, ফার্স্ট এড বক্সে কন্ডোম না রাখায় ট্রাফিক পুলিশ নাকি মোটা টাকা জরিমানা করেছে। তারপর থেকেই এই গুজব ছড়িয়েছে রাজধানীতে। ধর্মেন্দ্রর দাবি, ট্রাফিক পুলিশ নাকি চালানে একথাই লিখেছে, ফার্স্ট এড বক্সে কন্ডোম না রাখার ফলেই করা হল জরিমানা। এরপর থেকেই ক্যাব চালকরা ধরে নিয়েছেন, গাড়িতে কন্ডোম না রাখলে জরিমানা দিতে হবে। দিল্লি সর্বোদয় চালক সংস্থার সভাপতি কমলজিৎ গিল বলেছেন, ‘‌সমস্ত পাবলিক যানবাহনে সবসময় তিনটি করে কন্ডোম রাখা বাধ্যতামূলক করেছি আমরা।’‌

এইগুজব ছড়িয়ে পড়ার পর মহিলারা যথেষ্ট ভয় পাচ্ছেন। যদিও কমলজিৎ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ‘‌কোনও যাত্রীর যদি গুরুতর ক্ষত থাকে, সেক্ষেত্রে আচমকা রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ক্যাবে কন্ডোম রাখা হয়েছে। যতক্ষণ না যাত্রী হাসপাতালে পৌঁছে যাচ্ছেন, ততক্ষণ প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে রক্তপাত বন্ধ করার জন্যই কন্ডোম রাখার ব্যবস্থা।’‌ রমেশ নামে এক ক্যাবচালক বলেছেন, ‘‌আমি তো এখন থেকে গাড়িতে কন্ডোম রাখছি। তবে ট্রাফিক পুলিশ এখনও কন্ডোম নিয়ে কোনও প্রশ্ন আমায় করেনি।’‌ মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্টে এরকম কোনও নিয়ম যে নেই তা ট্রাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। কন্ডোম না রাখার ফলে জরিমানা করাও হয়নি বলে দাবি করেছে ট্রাফিক পুলিশ।

আধিকারিকদের তরফে বলা হয়েছে, কোনও ট্রাফিক পুলিশ যদি কন্ডোম না রাখার কারণে জরিমানা করেন, তা যেন অভিযোগ আকারে জানানো হয় নির্দিষ্ট জায়গায়। ওই আধিকারিক বলেছেন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ক্যাব চালকদের নিরাপদ যৌনতার পাঠ দেন। সেকারণেই হয়ত ক্যাবচালকরা গাড়িতে কন্ডোম রাখছেন। আর এটাই গুজব হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত খবর