করোনা যোদ্ধাঃ লকডাউনে ৭০০ এর বেশি পরিবারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তাজা সবজি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) জেরে লকডাউনের কারণে কর্ণাটকের এক কৃষক প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন। লকডাউনের কারণে আগামী ৩ রা মে পর্যন্ত সময়ে গ্রাহক এবং বিক্রেতা দুজনেই সমস্যায় পড়েছেন। বেশিরভাগ বাজার বন্ধ থাকার কারণে, তারা টাটকা শাক সবজি বিক্রি করতে পারছে না।

লকডাউনের প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে, বাজার ও পরিবহন সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ থাকায় শ্রীধরকে হোসুরের তার বাড়িতে প্রায় ৭০ কেজি ক্যাপসিকাম সংরক্ষণ করে রাখেন। তারা বেঙ্গালুরুর বাজারে পৌঁছানোর জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা কোনও সহায়তা পায়নি। শেষে তারা শাক নষ্ট হওয়ার আগে, বিনামূল্যে মানুষজনকে বিতরন করে দেয়।

   

এই সংকটের মুহূর্তে শ্রীধরকে সাহায্য করার জন্য ‘তারু’ নামে একটি সংস্থা এগিয়ে এসেছিল। এই সংস্থার একজন কর্নধার বেঙ্গালুরুতে বসবাসরত সুনীল গহ্টোরি দেখেছিলেন, যে কীভাবে পাশের জমিতে লকডাউনের জন্য চাষীরা মন খারাপ করছে। তখন তিনি দ্য বেটার ইন্ডিয়াকে জানিয়েছিলেন, ‘আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে ‘তারু’ নামে একটি সংস্থা চালাই, যেখানে আমরা কৃষকদের কাছ থেকে তাজা শাকসব্জি কিনে সেগুলো প্যাকেটে করে বিক্রি করি। এই প্যাকেট গুলো অ্যাপার্টমেন্টগুলিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের হাতে দেওয়া হয়’।

এই সংস্থা প্রায় ৭০০ টি পরিবারকে এই সংকটের সময়ে তাজা সবজি পৌঁছে দিচ্ছে এবং তাঁর ফলে কৃষকদের সবজিও আর নষ্ট হচ্ছে না। সবজি ছাড়াও আলু, পেঁয়াজ, টমেটো, লেবু, মরিচ, ধনিয়া, আদা এবং রসুন পাওয়া যায়। ক্রেতারা তাঁদের নিজেদের পছন্দমতো ভেড়া, বেগুন, মটরশুটি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ঘি, মূলা, গাজর, শসা, বিটরুট এবং ক্যাপসিকাম বেছে নিতে পারবেন। প্রতিটি বাক্সের দাম ২৫০ টাকা করে। তবে কোন অ্যাপার্টমেন্টে যদি ২০ টির কম বাক্স বিক্রি হয়, তাহলে তাঁদের থেকে ৩০ টাকা ডেলিভারি মূল্য নেওয়া হয়।

অর্ডার ফেসবুক পেজ এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে করা হয়। তবে অর্ডার দেওয়ার জন্য অনলাইনে একটি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। তবে প্রতি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে কমপক্ষে ১০ টি বাক্সের অর্ডার দিতে হবে। এই বাক্সগুলি প্রস্তুত করতে কৃষ্ণগিরি জেলার হোসুরে একটি গ্রুপের কৃষকদের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। তারপর অর্ডার নেওয়া হয়ে গেলে আমাদের কর্মী সুনীল সেগুলো সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে দেয়। তবে তারা মাস্ক ব্যবহার করে এবং হাত-পা স্যানেটাইজও করে নেয়। আমাদের এই কাজের ফলে এখন ৫২ টি পরিবারকে এই সংকটের মধ্যে আর বাইরে বেরোতে হয় না। আমরা পরিস্কারভাবে তাঁদের অর্ডার তাঁদের কাছে পৌঁছে দিই।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর