বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিরোধীদের লাগাতার প্রতিরোধের জেরে এই মুহূর্তে প্রায় অচল অবস্থায় রাজ্যসভা (Rajya Sabha) এবং লোকসভার (Loksabha) বর্ষাকালীন অধিবেশন। এ সময় লাগাতার পেগাসাস, কৃষি বিল সহ একাধিক ইস্যুতে সংসদের বাইরে এবং ভিতরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন কংগ্রেস (INC) সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। যার ফলে লোকসভার যে অধিবেশন ৫৪ ঘণ্টা চলার কথা তা চলেছে মাত্র ৭ ঘন্টা অর্থাৎ মাত্র ১৩ শতাংশ। অন্যদিকে রাজ্যসভা অধিবেশন চলার কথা ১০৭ ঘন্টা। সেখানে অধিবেশন চলেছে মাত্র ১৮ ঘন্টা। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের মাত্র ১৬.৮ শতাংশ।
কার্যত এই বর্ষাকালীন অধিবেশনের বেশিরভাগ সময়টাই বিরোধীদের প্রতিবাদ এবং হাঙ্গামায় কেটেছে। কিন্তু এরই মাঝে চূড়ান্ত অভিযোগ উঠল কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের (TMC ) রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien) আজ অভিযোগ করেন, এরই মধ্যে গত ১০ দিনে দ্রুতগতিতে একের পর এক বিল পাস করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আজ টুইটারে ডেরেক লেখেন, “নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও অমিত শাহ (Amit Shah) প্রথম ১০দিনে ঝড় তুলেছেন। ৭ মিনিটে একটি আইন, এই হিসাবে ১২টি আইন আনা হল। এটা কি আইন আনা হচ্ছে না কি পাপড়িচাট বানানো হচ্ছে। #MASTERSTROKE #Parliament” সাথে সাথেই এই ১২ টি বিলের একটি তালিকাও জারি করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, সবচেয়ে দ্রুত মাত্র এক মিনিটে কেন্দ্র সরকার যে বিল পাশ করিয়েছে তার নাম “কোকোনাট ডেভেলপমেন্ট বোর্ড বিল।” অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি সময় লেগেছে যে বিলটি পাশ করাতে তার নাম ‘এয়ারপোর্টস ইকোনমিক রেগুলারিটি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বিল’। এক্ষেত্রে সময় মাত্র ১৪ মিনিট।
In the first 10 days, Modi-Shah rushed through and passed 12 Bills at an average time of UNDER SEVEN MINUTES per Bill 😡(See shocking chart👇)
Passing legislation or making papri chaat! pic.twitter.com/9plJOr5YbP
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) August 2, 2021
কার্যত এর আগেও একাধিকবার এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডেরেক। আগে মোদী সরকারের দ্রুত বিল পাশ করানোকে আক্রমণ করে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমরা কি পিজ্জা ডেলিভারি দিচ্ছি নাকি।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়েও এর আগেই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল। তাদের দাবি সরকার এ বিষয়ে আলোচনা করলে সংসদ চলতে দেবে না তারা। অন্যদিকে সংসদের এই অচলাবস্থার সূর্যকে পাস হচ্ছে একাধিক বিল। এবার তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে গত ১০ দিন নির্ধারিত সময় সংসদ না চলায় ১৩৩ কোটি টাকা ক্ষতি হল জনগণের।