বিভিন্ন পূজা শেষে কেন যজ্ঞ করার রীতি পালন করা হয়, জানুন বিস্তারিত

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হিন্দু রীতি অনুসারে পূজার শেষে যজ্ঞের (Homa) নিয়ম দেখা যায়। সব সময় না হলেও, বিশেষ বিশেষ সময়ে এই যজ্ঞ করতে দেখা যায়। বৈদিক শাস্ত্রানুসারে বলা হয়, যজ্ঞের মাধ্যমে যা অগ্নাহুতি দেওয়া হয় তা সম্পূর্ণরূপেই দেবতার কাছে পৌছায়। সেই বিশ্বাসে মানুষজন যজ্ঞ করে থাকেন।

homa

বেদের মাধ্যমে বৈদিক ঋষিরা বারংবার যজ্ঞের কথা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে গেছেন। যে কোন সমস্যায় যজ্ঞের মাধ্যমেই তাঁর সমাধান সম্ভব বলেও মনে করা হয়। তবে একবার যজ্ঞ করলেই যে মনবাঞ্ছা পূর্ণ হবে, তা কিন্তু নয়। নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে যজ্ঞ করতে হয়। তবেই অর্থ , কর্ম ,শারীরিক বা বশীকরণ যে কোন সমস্যারই সমাধান পাওয়া যায়।

শাস্ত্র মতে বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন রকম যজ্ঞ করার রীতি বর্ণিত আছে। যেমন- সন্তান সমসার জন্য গোপাল-হোম , নব-গ্রহের সমসার জন্য নব-গ্রহ যজ্ঞ , আর্থিক সমসস্যার জন্য মহা-লক্ষ্মীর যজ্ঞ ছাড়াও আরও অনেক যজ্ঞের উল্লেখ পাওয়া যায়।

homa 333

যজ্ঞ করবার সময় বিশেষ কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে যজ্ঞ করবার সময় কোন ভুল হলে, পরিবারের অকল্যাণ হবে, এই মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে। যজ্ঞ করবার সময় শুদ্ধ মনে ভক্তিভাবে মন্ত্র উচ্চারণ করে ভগবানকে স্মরণ করতে হবে। তা হলেই মনবাঞ্ছা পূর্ণ হবে।

যজ্ঞের কয়েকটি বিশেষ নিয়ম হল, যেমন- যজ্ঞে নিয়োজিত ঘি হতে হবে শুদ্ধ এবং গরুর খাটি দুধ দিয়ে তৈরি। পূজা সমাপ্ত হওয়ার আগে যেন কোন ভাবেই যজ্ঞের আগুন নিভে না যায়। তাহলে তা অমঙ্গলের চিহ্ন স্বরূপ ধরা হয়। প্রতিটি যজ্ঞের জন্য আলাদা আলাদা কাষ্ঠ থাকে। তা সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। এবং অতি অবশ্যই আহুতি-মন্ত্র সঠিক এবং শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে হবে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর