কিছুক্ষণের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘নিভার’, ৫০ বছর আগে এমনই এক ঝড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল রামসেতুর শহর

এগিয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় নিভার (niver)। ইতিমধ্যেই চরম সতর্কতা জারি তামিলনাড়ু সহ একাধিক রাজ্যে৷ আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল রামসেতুর (ram setu) শহর ধনুষকোটি (dhanushkoti)। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত এই শহরটিতে কোনো মানুষ থাকে না।

নিভার,রামসেতু,ধনুষকোটি,niver,ram setu,dhanush koti,bengali,bengali news

একটি শহর হিসাবে গড়ে উঠতে গেলে যা যা প্রয়োজন সবই ছিল ধনুষকোটির। ভারতের সর্বদক্ষিণের এই শহরে ছিল রেল, পোস্ট অফিস থেকে শুরু করে যাবতীয় সুবিধা। রামেশ্বরম জেলার এই দ্বীপ শহর থেকে শ্রীলঙ্কার দূরত্ব মাত্র ৩১ কিলোমিটার। ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত এই শহরের উপর দিয়েই ভারত আর শ্রীলঙ্কার মধ্যে নিত্য যাতায়াত ছিল সকলেরই। তখনও এই যাতায়াতে কোনো বাধা নিষেধ ছিল না। কিন্তু প্রকৃতির খেয়ালে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যায় শহরটি।

১৯৬৪ সালের ২২-২৩ ডিসেম্বর এক ভয়ংকর ঘুর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে এই শহরের ওপর। ঝড় যখন এই দ্বীপ শহরে আঘাত করে তখন তার গতিবেগ ছিল ২৮০ কিমি প্রতিঘন্টা। যার ফলে ২৩ ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ে শহরে। এই তান্ডবে অন্তত ১৮০০ মানুষের মৃত্যু হয় বলে মনে করা হচ্ছে। ১১৫ যাত্রী নিয়ে রামেশ্বরমের পাম্বান থেকে ধনুষকোডি পর্যন্ত একটি যাত্রীবাহী ট্রেন যাচ্ছিল সেই ট্রেনের প্রত্যেকেই মারা যান। ধ্বংস হয়ে যায় পুরো রামসেতুটি।

প্রসঙ্গত, ধনুষকোটি শুধু ভৌগোলিক ভাবেই গুরুত্বপূর্ণ শহর নয়। হিন্দুদের এই শহরের পৌরানিক গুরুত্বও রয়েছে। পুরান অনুসারে এই শহর থেকেই শুরু হয়েছিল রাম সেতু। ধনুষকোডির একেবারে শেষ বিন্দু থেকে বালির একটা সরু পথ শ্রীলঙ্কার দিক বরাবর ক্রমশ জলের তলায় চলে গিয়েছে, তাকেই রাম সেতু বলে দাবি করা হয়। অন্যান্যদের কাছে এই সেতু ‘অ্যাডাম ব্রিজ’ নামেও পরিচিত। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এই সেতুটি মানুষের তৈরি।

 

সম্পর্কিত খবর