আপনার চরিত্রের দোষ আছে দিদি, আপনি বাঙালি ভাইদের বিভ্রাতৃ করে রেখেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ রাজকুমার কেশরীর

বাংলা হান্ট ডেস্ক : কেন আপনি ২০০৫ সালে নাগরিকত্ব আইনের জন্য ফাইল ছুঁড়ে মেরেছিলেন, আপনি কি রং বদলান? আপনার চরিত্রের দোষ আছে। তাই আপনি বাঙালী ভাইদের বিভ্রাতৃ করে রাখেন। বাঁকুড়ার ওন্দা. বিজেপির নাগরকিত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থণে সভা মঞ্চ থেকে ঠিক এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে চাঁচাছোলা ভাষাতে আক্রমন করলেন বিজেপির রাজ্য সহ সভানেত্রী রাজকুমারী কেশরী। এমনিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আই নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ।

তার ওপরে রাজ্যের বর্তমান অবস্থা একেবারেই খারাপ। রাজ্যে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবার রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন সমর্থণের জন্য কখনও বাঁকুড়া কখনও উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করে যাচ্ছে বিজেপি। আর এই সভা থেকেই এবার মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে একেবারে যা তা কথা বললেন রাজকুমারী কিশোরী।

   

যদিও এসব বলেই থেমে থাকেননি তিনি দিদির নিয়ে একেবারেই সঠিক কথা বলেছেন বলেও মন্তব্য করেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে পেতনি বলতেও ছাড়েননি রাজকুমারী কিশোরী। অন্যদিকে ভোটবাক্স ভরানোর জন্য তিনি আফগানিস্তান থেকে শুরু করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে মুখ খুলছেন না শুধু তাঁর ভোটবাক্স ভরানোর জন্য এমনটাও বলেন তিনি।

আসলে সম্প্রতি ২০০৫ সালের একচি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে সংসদে দাঁড়িয়ে স্পিকারের দিকে এনআরসি চাই বলে কাগজ ছুড়েছিলেন, এবার সেই প্রসঙ্গ তুলে একেবারে মুখ্যমন্ত্রীকে চরিত্রের দোষ আছে বলে মন্তব্য করেন। বাংলার মাটিতে ক্যা ক্যা ছি ছি স্লোগান নিয়ে বলতে গিয়ে রাজকুমারী কেশরী তাঁর মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

তবে রাজকুমারীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল নেতৃত্বরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলেই শোনা গিয়েছে। তাই বিজেপির সভানেত্রীকে পাল্টা দিয়ে বিষ্ণুপুরের সাংগাঠনিক জেবা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন,’বিজেপি নেতানেত্রীরা কুকথায় পিএইচডি করেছেন।ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের প্রসঙ্গ টেনে শ্যামল বাবু আগামী দিনের অর্থাত্ রাজ্যের আগামী নির্বাচনগুলিতে এই বক্তব্যের জোর প্রভাবের সম্ভাবনাও দেখছেন বলে জানান।

 

সম্পর্কিত খবর