বাংলার বাড়ি বাড়ি পৌঁছবে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ! শুরু হয়ে গেল তোরজোড়, কবে হাতে পাবেন?

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) উদ্বোধন হয়েছে। এই প্রথম বাংলার এই ‘সৈকত শহরে’ ধুমধাম করে রথযাত্রা হবে। তার আগেই বাংলার বাড়ি বাড়ি জগন্নাথ দেবের প্রসাদ বিতরণের তোরজোড় শুরু হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই কলকাতা থেকে দিঘায় (Digha) পৌঁছেছে ৩০০ কেজি বিশুদ্ধ খোয়া ক্ষীর।

রাজ্যের প্রায় ১ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষ পাবেন জগন্নাথদেবের প্রসাদ (Jagannath Temple)

মন্দির উদ্বোধনের সময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, বাংলার বাড়ি বাড়ি প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে। রথযাত্রার মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। সেই মতো শুরু হয়ে গেল তোরজোড়।

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Digha Jagannath Temple) ট্রাস্টি সদস্য এবং কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস জানান, কলকাতা থেকে ৩০০ কেজি বিশুদ্ধ খোয়া ক্ষীর দিঘায় এসে পৌঁছেছে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জগন্নাথদেবের চরণে সেই ক্ষীর নিবেদন করা হয়। জানা যাচ্ছে, ‘প্রসাদের স্বাদেই মিলবে ভক্তির ছোঁয়া’, এই আশ্বাস থেকেই বাংলার প্রায় ১ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষের বাড়ি বাড়ি প্রসাদ বিতরণের এই ঐতিহাসিক কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ SIT এই ধরণের অভিযোগের তদন্ত করতে পারে না! হাইকোর্টে দাবি রাজ্যের, বড় নির্দেশ দিয়ে দিল আদালত

রিপোর্ট বলছে, আগামী ১৭ জুন থেকে রাজ্যবাসীর ঘরে ঘরে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ (Prasad) পৌঁছতে শুরু করবে। প্রসাদী ক্ষীরভোগের মিশ্রণের প্যাঁড়া ও গজার প্যাকেট হাতে পাবেন সকলে।

Jagannath Temple image prasad will be sent before Rath Yatra

প্রসাদ তৈরির জন্য জেলার মিষ্টির দোকানগুলিতে প্রসাদী ক্ষীর পাঠানো হবে। সেখানে প্যাঁড়া, গজা সহ নানান মিষ্টি তৈরি হবে বলে খবর। এরপর সেগুলি সিল করা প্যাকেটে ভরে রাজ্যের বাড়ি বাড়ি পাঠানো শুরু হবে। জানা যাচ্ছে, প্রসাদের প্যাকেটের সঙ্গে জগন্নাথ মন্দিরের ছবিও দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধনের পর থেকেই দিঘার জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) ঘিরে রাজ্যবাসীর উন্মাদনা চরমে। ইতিমধ্যেই নবনির্মিত এই মন্দির দেখতে ‘সৈকত শহরে’ পৌঁছে গিয়েছেন অনেকে। তবে এখনও এমন বহু মানুষ আছেন যারা সেখানে যেতে পারেননি। এবার রাজ্যের সব বাড়ি বাড়ি প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। শুরু হয়ে গেল সেই তোরজোড়।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।