মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠককে ‘দিদিমনির পাঠশালা’ বলে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর (Mamata Banerjee) ডাকা সর্বদল বৈঠককে ‘দিদিমণির পাঠশালা’ বলে আকক্রন করলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপির পক্ষ থেকে এদিনের বৈঠকে যোগ দেবেন দিলীপ ঘোষ, মনোজ টিগ্গা, জয়প্রকাশ মজুমদার। বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার আগেই বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে কটাক্ষের সুরে বলতে শোনা যায়, “দিদিমণির পাঠশালা দেখতে যাচ্ছি। পার্লামেন্টেও গিয়েছিলাম। বিধানসভাতেও গিয়েছি। এটা আর নতূন কী? দিদিমণির পাঠশালায় ডেকেছে, যাবও।”

সূত্রের খবর, বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন যায় দিলীপের কাছে। কিন্তু প্রথম তিনি জানান, বুধবার দলীয় কর্মসূচিতে মেদিনীপুরে যাওয়ার কথা তাঁর। উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওসব পরে হবে, বৈঠকে আসবেন।’

তারপরই নিজের কর্মসূচি বাতিল করে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে কথা দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। সর্বদল বৈঠকে বিজেপি কী কী ইস্যু নিয়ে সরব হবে, সেকথাও জানান দিলীপ ঘোষ। বলেন, “নানারকম দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূলের আত্মীয়া টাকা পেয়েছেন। আমরা বিডিও অফিস থেকে তালিকা জোগাড় করার চেষ্টা করেছি সব। আমাদের কর্মীরা ত্রাণ দিতে গিয়ে বার বার আক্রান্ত হচ্ছে। সেইসব নিয়ে বলব।”

প্রসঙ্গত, সর্বদল বৈঠকে যোগ দিতে আসার জন্য সোমবার দিলীপ ঘোষকে ফোন করে আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। মাত্র ৩ মিনিটের ফোনে কথা হয় দুই নেতৃত্বের। মুখ্যমন্ত্রীর ফোনেই পূর্ব নির্ধারিত সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে বৈঠকে আসার বিষয়ে সম্মতি জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। একইসঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত রাখবেন বলেও জানান তিনি।
এদিন দিলীপ ঘোষ ফলতার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের করোনায় মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে বলেন, ‘তমোনাশ ঘোষের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক৷ ১ মাস তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। সরকার ভিআইপিদেরও চিকিৎসা সুষ্ঠু ব্যবস্থা করতে পারছে না। এটা ব্যর্থতা। শাসকদলের বিধায়ক ও সাংসদরা আক্রান্ত হচ্ছে। কারণ তারা সোশ্যাল ডিসটেন্স মানছেন না। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীও মানছেন না। অথচ আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছেন।

সম্পর্কিত খবর