হয় সরলীকরণ নয় বস্তাবন্দি করতে হবে এনআরসি, জনগনের রায় দেখে নতুন ওষুধ তৈরীর কথা জানালেন দিলীপ ঘোষ!

 

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ  তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনে একেবারে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে প্রায় বিজেপি। আর সেখান থেকে আরো আশংকার প্রহর গুনছে কিছু সমর্থক। কিন্তু না দলের সমর্থক যখন মনোবল হারিয়ে ফেলে তখন তার উপরের স্তরের নেতারা তার তিনগুণ উচ্চস্বরে। আর তেমনই যেন দিলীপ ঘোষের গলায় সুর শোনা গেল। তিনি হারের আত্মবিশ্লেষণ করবেন জানালেন। এরপর তিনি জানালেন যে কিভাবে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে জিততে হয় তার ওষুধ তৈরি করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। কিন্তু তৃণমূল শিবির কে জোড় ধাক্কা দিয়েছে বিজেপি শিবিরে তা অনেক রাজনৈতিক মহলই উড়িয়ে দিতে পারছে না।

 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে দিলীপ ঘোষ যতই মুখে বলুন যে ওষুধ তৈরি করে ফেলেছেন কিন্তু তাদের সঠিক সময়ে প্রয়োগ করতে হবে। তা কিন্তু সাধারণ জনসাধারণের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে। তার জন্য তার কর্মীদেরকে আরও নমনীয় হয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। এমনই ধারণা বিশ্লেষকদের একাংশের। তবে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর এনআরসি। উত্তর দিনাজপুর কালিয়াগঞ্জ এর প্রার্থী হেরে যাওয়ার পরেই তার বিবৃতিতে প্রথম এনআরসি কেই কাটগড়ায় তুলেছেন। এই এনআরসি মানুষের মধ্যে সঠিকভাবে পৌঁছতে পারেনি এবং তার ভুল ব্যাখ্যা করে তৃণমূল ভোটের বাক্সে ফায়দা তুলেছে। তা ও রাজনীতিবিদ নয় যে কোন সাধারণ মানুষও বুঝতে সক্ষম। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসি নিয়ে বারবার করে চরমতম মুখ খুলে। রাজ্যের আবহাওয়াকে হয়তো বুঝতে অক্ষম হয়েছেন। নাহলে এমন ঘর পরাজয় কিন্তু কোন মতেই সম্ভব ছিলনা বলে মন্তব্য করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের পরিকাঠামোয় কোন অভাব না থাকলেও এই এনআরসি ইস্যু যে একটা বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। এবং তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যে খুব একটা ভাল হয়নি তার নিজেরাও হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। হয় এই এনআরসি নীতিকে সরলীকরণ করে মানুষের মাঝে পৌঁছতে হবে নচেৎ এনআরসি ইস্যুকে ভোটের ইস্যু করা চলবে না। এই দুটোর মধ্যে কোন একটি না ঘটলে যে পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে মুখ থুবড়ে পড়তে হবে তা কিন্তু বলাই বাহুল্য।

 

সামনে একাধিক জেলায় পৌরসভার নির্বাচন হতে চলেছে। আর এই তিন উপনির্বাচনে জেলায় ছিল বর্ডার। সেখানে এনআরসি যে একটা বড় ফ্যাক্টর হতে পারে তা কিন্তু আগে থেকে আশঙ্কা করেছিল অনেকে। কিন্তু সেখানেই যেন রান আউট হয়ে গেল বিজেপি। এখন দেখার বিষয় দিলীপ ঘোষ তার কি অস্ত্র তৈরি করে ভবিষ্যতের জন্য ভোটে জেতার জন্য।

সম্পর্কিত খবর