শুভেন্দুর ক্যারিশমায় দিলীপের দুর্গ এখন তৃণমূলের হাতে, খড়্গপুরে তৃণমূল উত্থানের পরিসংখ্যান চমকে দেওয়ার মতোই

বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদল হলেও রেল শহর খড়্গপুর কিন্তু ছিল সেই কংগ্রেসের হাতেই, একমাত্র খড়্গপুর ছাড়া বাকি সব কেন্দ্রগুলি দখল করেছিল শাসক শিবির। তবে গতবার বিধানসভা নির্বাচনে তারা তো কংগ্রেস নেতা জ্ঞান সিং সোহন পালকে হারিয়ে খড়্গপুরের ঘাঁটি গেড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।তারপর আসতে আসতে এতটাই প্রভাব বিস্তার করেছিল গেরুয়া বাহিনী যে লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ কিন্তু মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে পরের বছর হওয়ায় এ বার পদ্ম ফুলে থাবা বসাল ঘাসফুল। নেপথ্যে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।adhikari1

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের পরেই শুভেন্দু অধিকারীকে খড়্গপুরের রাশ তুলে দেন আর তার পর থেকেই বিধানসভা উপনির্বাচনকে টার্গেট করে শুভেন্দু অধিকারী একেবারে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েন। তাই তো দিলীপের দুর্গে কুড়ি হাজারের বেশি ব্যবধানে উপনির্বাচনে বিধায়ক নির্বাচিত হলেন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার। যে কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষ লিড পেয়েছিলেন সেই কেন্দ্রেই এবার ঘাসফুল।

2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে খড়্গপুর বিধানসভায় তৃণমূলের ফলাফল কিন্তু খুব একটা আশানুরূপ ছিল না, কংগ্রেসের পরেই স্থান ছিল তৃণমূলের অর্থাত্ প্রথম বিজেপি দ্বিতীয় কংগ্রেস এবং তৃতীয় তৃণমূল তবে এবার সাড়ে তিন বছর পর একেবারে এক লাফ দিয়ে প্রথম স্থানে উঠে এল তৃণমূল।

এবার আসা যাক সপ্তদশ লোকসভার নির্বাচন, যেখানে রাজ্যের বেশির ভাগ কেন্দ্রে উঠেছে গেরুয়া ঝড়। বিজেপি এই কেন্দ্র থেকে 57.23 শতাংশ ভোট পেয়েছিল আর এখান থেকে দিলীপ ঘোষ সাংসদ হয়েছিলেন যেখানে তৃণমূলের পরিসংখ্যান ছিল প্রায় অর্ধেক 29.58 শতাংশ, আর কংগ্রেসের স্থান ছিল 10.03 শতাংশ।

তবে দু দুবার পরাজয়ের পাল্টা ভালোই দিল উপনির্বাচনে। বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল রেলশহর খড়্গপুরে তৃণমূল 20,811 ভোটে জয় পেয়েছে। যেখানে বিজেপি 51,613 ভোট পেয়েছে সেখানে শাসক শিবিরের প্রার্থী প্রদীপ সরকার পেয়েছেন 72, 424 ভোট অর্থাত্ লোকসভা নির্বাচনের মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই একেবারে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল।

সম্পর্কিত খবর