দীপাবলিতে লক্ষীলাভ , বাজি বিক্রি বন্ধ থাকার পরেও ৭২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা ২০ শহরে

লকডাউনে স্তব্ধ হয়ে যাওয়া অর্থনীতির চাকা যে খুব দ্রুত ঘুরতে শুরু করবে তার আঁচ পাওয়া গিয়েছিল বিভিন্ন সমীক্ষায়। এবার তার প্রত্যক্ষ ফল দেখা গেল দীপাবলিতেই। বাজি বিক্রি নিষেধ হওয়া সত্ত্বেও দেশে যে সার্বিক ভাবে বিক্রি বেড়েছে তার প্রমাণ মিলল সমীক্ষায়। ব্যবসায়িক সংগঠন ‘কনফেডারেশন অব অল ট্রেডার্স’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই বছর দীপাবলিতে ৭২ হাজার কোটি টাকার ব্যাবসা হয়েছে। যা প্রবল ভাবেই ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত।

images 2020 11 16T120403.181

দেশের ২০ টি বড় শহর থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে সারা দেশে বাজি বিক্রি নিষিদ্ধ হওয়ায় কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার ব্যাবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু বাজি বিক্রি না করেও দীপাবলিতে মোট বিক্রি বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি, বাড়ি সাজানোর জিনিস, উপহার, মিষ্টি, জামাকাপড়, জুতোর মতো ব্যাবসাগুলি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আর্থিক সমীক্ষা সংস্থা অক্সফোর্ড ইকোনমিক্স এর তথ্য বলছে, প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতের অর্থনীতি। সমীক্ষায় আরো প্রকাশ বছরের শেষ কোয়ার্টারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের ওপরে থাকতে পারে। অন্যদিকে ডিসেম্বর মাসেই রিজার্ভ ব্যাংক ঘোষণা করতে পারে নতুন রেপো রেট।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সাংবাদিক বৈঠকে এই প্যাকেজের তৃতীয় পর্ব ঘোষণার সাথে সাথে একই দাবি করেছিলেন নির্মলা সীতারমন। জানিয়ে রাখি, আত্মনির্ভর প্যাকেজের তৃতীয় পর্ব এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশটি হল আত্মনির্ভর রোজগার যোজনা। epfo এর আওতায় কোনো সংস্থা যদি ১৫ হাজার টাকার নীচে কর্মী নিয়োগ করে সেক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে এই ক্ষেত্রে শর্তটি হল  1 মার্চ থেকে 30 সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ হারানো কর্মীর কর্মসংস্থান করতে হবে। সুবিধাটি উপলব্ধ থাকবে অক্টোবর মাসের প্রথম দিন থেকে 30 জুলাই পর্যন্ত।

 

 

 

সম্পর্কিত খবর