ভারতের আরো এক আব্দুল কালাম, গরিব পরিবারে জন্ম, বিনা ইলেক্ট্রিসিটিতে পড়াশোনা আর ওনার নেতৃত্বেই ভারত রেকর্ড গড়ছে একের পর এক- ডঃ সিভান

ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন বিজ্ঞানীর অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন ড. কৈলাসভাদীবু সিভান। ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশানের বর্তমান সভাপতি হলেন তামিলনাড়ুর একজন বিজ্ঞানী সিভান। সিভানের সাফল্য সহজ ছিল না। তাকে অনেক সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয় যে জীবনে। তিনি শিবান কন্যাকুমারীর তারকানভাইলা গ্রামের কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি তামিল মিডিয়াম সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে। তিনি হার্ড কাজে বিশ্বাসী এবং সহজে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করতে ভালোবাসতেন।

১৯৮০ সালে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে বৈমানিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক কোর্স করেন।তারপর বেঙ্গালুরু থেকে মহাকাশ প্রকৌশলে মাস্টার্স কোর্স করেন এবং ১৯৮২ সালে ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন এর যোগ দেন। আবার ২০০৬ সালে তিনি পিএইচডি করেন এবং ২০১৪ সালে সাথাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেন।

   

তার অবদান অনেক যেমন তিনি ক্যারিয়ারে জিএসএলভি, পিএসএলভি সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গুলিতে অবদান রাখেন এবং জিএসএলভি রকেট প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। আবার যানবাহন চালু করার বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করে ২০১৫ সালে স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেমের জন্য ‘ইন্টিগ্রেটেড ডিজাইন ‘ নামে একটি বই প্রকাশ করেছিলেন।তাছাড়া তিনি ১৯৯৯ সালে শ্রী হারি ওম আশ্রম প্রিটেক্ট ডক্টর বিক্রম সারাভাই রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড, ২০০৭ সালে আইএসও মেট্রিট অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১১ সালে ড. বিয়ারেন রয়স স্পেস সায়েন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

২০১৫ সালের জুন মাসে বিক্রমমানপুরের বিক্রম সারাহাই স্পেস সেন্টারের পরিচালক হিসাবে কাজ করছেন। পাশাপাশি স্পেস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং স্পেস কমিশনের মহাসচিব হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৭ সালে পিএসএলভির একক ফ্লাইটের মাধ্যমে 104 টি স্যাটেলাইট চালু করে বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করার প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।চন্দ্রয়ন-২ প্রকল্প চালু ছিল তার চেয়ারম্যানশিপের তিন বছরে।

সাম্প্রতিক বিকাশ লক্ষ্য করা যায় যেমন ইন্টারন্যাশনাল প্রকল্প দ্বারা ভারত শিগ্রহী ইতিহাস কে লিপিবদ্ধ করবে। দ্বিতীয় মিশনে চন্দ্রয়ন -২ মহাকাশযান একটি কক্ষপথ, একটি লেন্ডার ও একটি রোভার বহন করবে। এটি চাঁদের ছবি পাঠাবে এবং পরীক্ষা সঞ্চালন করবে। চেয়ারম্যান বলেন ,3.8 বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জি এস এল পি এম কে ২৩ দ্বারা চালু করা হবে। এই প্রকল্প নিয়ে বেশ উত্তেজনায় ড. কে সিভানের।

সম্পর্কিত খবর