লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিয়ে উমাকে ঘরে আনার তোরজোড়, আয়োজনে লক্ষ্মীরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় বলে, “যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে।” একটা সময় ছিল যখন কোন পুজো সম্পূর্ণভাবে পুরুষতান্ত্রিক ছিল। পূজোর উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে কমিটি, সব জায়গাতেই পুরুষদের প্রাধান্য ছিল। কিন্তু সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সমাজে বেড়েছে নারীর দাপট। নিজ গুনে আজ নারী পুরুষের পাশে জায়গা করে নিয়েছে আপন ক্ষমতা বলে।

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাই কয়েক বছর থেকে দেখা যাচ্ছে মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো। আজ আপনাদের এমন একটি পুজোর কথা বলব যেখানে উদ্যোক্তা সকলেই মহিলা। সব থেকে বড় কথা এই পুজো তারা করছেন লক্ষীর ভান্ডারের জমানো টাকা থেকে। এর পাশাপাশি আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় এই পুজোয় থাকছেন মহিলা পুরোহিত থেকে মহিলা ঢাকি।

গত পাঁচ বছর ধরে মহিলা পরিচালিত এই দুর্গাপূজা হয়ে আসছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার রাধাকান্তপুর গ্রামে। কমিটির দাবি এই দুর্গাপুজো আগের থেকে এখন অনেকটাই ঝাঁ চকচকে। তাদের দাবি এই পুজো তারা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে প্রাপ্ত লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা জমিয়ে আয়োজন করছেন। গ্রামের প্রায় ৮০ জন মহিলা সরাসরি যুক্ত এই পূজোর সাথে। তাদের কথায় অন্যান্য বড় পূজো মণ্ডপ গুলির মত বড় আয়োজন না থাকলেও তাদের পুজো অন্যান্য অনেক পুজোকে লজ্জায় ফেলতে পারে। কোন বড় স্পন্সর না থাকা সত্ত্বেও গ্রামের মহিলারা অল্প পুঁজিতে এই পুজোর আয়োজন করে থাকেন।

jpg 20220923 140259 0000

কমিটির মহিলাদের দাবি এই পূজার বাজেট আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার মধ্যে। আগে চাঁদা তুলে এই পুজোর আয়োজন করা হলেও এখন সিংহভাগ টাকা গ্রামের মহিলারা লক্ষীর ভান্ডারের থেকেই দেন। আশপাশের গ্রামে বিশেষ কোন দুর্গাপুজো না থাকায় তাদের এই পুজো গ্রামের মানুষদের এখন অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর