হেমতাবাদে পুকুর খননের সময় উঠে এল হাজার বছর পুরানো কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গ্রামে চলছিল পুকুর খননের কাজ, আর সেখান থেকেই পাওয়া গেল এক ফুটের কালো পাথরের বিষ্ণুমূর্তি (Vishnu)। রবিবার বেলায় ঘটনাটি ঘটেছে হেমতাবাদ (Hematabad) ব্লকের নওদা গ্রাম পঞ্চায়েতের নারাদিঘি এলাকা থেকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি পুরনো পুকুর সংস্কারের জন্য খননের কাজ চলচ্ছিল। আর সে সময় মাটির নীচ থেকে মুর্তিটি পায় শ্রমিকরা। উচ্চতায় মূর্তিটি  এক ফুট। পায়ের নিচের অংশ ভাঙা। কালো পাথরে বিষ্ণু মূর্তিটিতে বিভিন্ন নিদর্শন খোদাই করা রয়েছে ।  হেমতাবাদ থানার পুলিশ মূর্তিটি উদ্ধার করেছে ।

বিষ্ণু মূর্তিটা বহুমূল্য কষ্টিপাথরের বলে দাবি ইতিহাসবিদদের। উদ্ধার হওয়া বিষ্ণু মূর্তিটি দাসিয়া গ্রামের দুর্গা মন্দিরে স্থাপন করে এদিন রাতে পুজোর ব্যবস্থা করেন বাসিন্দারা। স্থানীয়রা জানান কয়েকদিন গ্রামে পুকুর খননের কাজ চলছিল। গ্রামবাসীরা পুকুর  কাটতে গেলে মাটির সঙ্গে উঠে আসে কষ্টি পাথরের বিষ্ণুমূর্তি।  গ্রামবাসীরা  মূর্তিটিকে স্থানীয় দুর্গা মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। শুরু হয় পূজো!

স্থানীয় বাসিন্দা মানিক দেবশর্মার ভাষায়, ” বিষ্ণু মূর্তি আমরা দুর্গা মন্দিরে রেখেই পুজো করব!”  আরেক বাসিন্দা, ইতিহাসের প্রাক্তন শিক্ষক বৃন্দাবন ঘোষ জানিয়েছেন,হাজার বছর আগে ইটাহার থানার জয়হাট অঞ্চলের আমিতি গ্রামের শিল্পীরা রাজমহল পাহাড়ের পাথর কেটে বিভিন্ন ধরনের মূর্তি তৈরী করে বিভন্ন জায়গায় বিক্রি করতেন। বখতিয়ার খলজির আমলে সেই মূর্তিগুলি ভেঙে পুকুরের ফেলে দেওয়া হয়েছিল। হয়তো মাটি কাটার সময় সেরকমই কোনও মূর্দিতি পেয়েছেন গ্রামবাসীরা। কালো পাথরের উপর খোদাই করে বিষ্ণুর রুপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ৷ পাশাপাশি আরও কারুকার্য রয়েছে ।

সম্পর্কিত খবর