ক্রিকেটের চেঁচামেচিতে শোনাই গেলো না ঐতিহাসিক সোনা বিজয়ী দ্যুতি চাঁদ-র আওয়াজ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৯ই জুলাই মঙ্গলবার ১২ তম বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু থেকে থেকে বৃষ্টি পড়ার জন্য সেদিন খেলা বন্ধ হয়ে গেছিল। সেইসময় গোটা দেশ শুধু এটাই ভাবছিল যে, ভারত নিউজিল্যান্ডের খেলা কখন শুরু হবে? আর হলেও কে জিতবে? ডার্কওয়ার্থ লুইস নিয়ম অনুযায়ী, ভারতের সামনে কত রানের লক্ষ্য পড়বে? আর এত প্রশ্নের মধ্যে রাত ১১ টার সময় খবর আসে যে, সেদিন আর ভারত – নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ হচ্ছে না। পরের দিন ঠিক ওই যায়গা থেকেই আবার ম্যাচ শুরু হবে।

   

যখন ভারত – নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনাল ম্যাচ বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে গেছিল, তখন ভারত থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে ভারতেরই এক মেয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে প্রায় ১৫০ দেশের খেলোয়াড়দের হারিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছিল।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী, ১০ জুলাই রাত ১ঃ৩০ নাগাদ একটি টুইট করেন ভারতের স্টার রানার দ্যুতি চাঁদ, সেখানে লেখা ছিল, ‘আমি সোনা জিতেছি”। কিন্তু দুর্ভাগ্য! ওই টুইটে আনন্দ করার যায়গায় দেশের সবাই চুপ ছিল। কারণ তখন সবাই ভারত আর নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনাল খেলা নিয়ে চিন্তিত ছিল।

রাত থেকে সকাল হল, আর খবর আসতে আসতে ছড়াতে থাকল। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্রীড়া মন্ত্রী কিরণ রিজিজু সমেত অনেক নেতা, নেত্রীরা দ্যুতি চাঁদ-কে শুভেচ্ছা জানানো শুরু করে দেন। কিন্তু এই ঐতিহাসিক খবর দেশের মানুষের কাছে পৌঁছানর আগেই, ভারত – নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল খেলা শুরু হয়ে যায়, আর মানুষ ক্রিকেটের নেশায় বুঁদ হয়ে পড়ে।

কিন্তু এরপর ভারতীয় ক্রিকেট দলের নিরাশাজনক প্রদর্শনের পর আবারও দ্যুতি চাঁদ এর সাফল্যের কথা সবার সামনে আসতে শুরু করে। ক্রিকেট দলের হারের দুঃখ ভোলানর জন্য সবাই, ঐতিহাসিক সোনা জয়ের উল্লাস পালন করে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছিল।

দ্যুতি চাঁদ ওই ট্যুইট ইতালিতে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসে সোনা জয়ের পর করেছিলেন। দ্যুতি ৩০ তম সামার ইউনিভার্সিটি গেমস এর ১০০ মিটারের দৌড় প্রতিযোগিতায় সোনার মেডেল জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। কারণ দ্যুতিই প্রথম ভারতীয় মহিলা, যিনি এই খেলায় সোনা জয় করেছেন।

সম্পর্কিত খবর