মুজিববর্ষের প্রথম উপহার, বাংলাদেশে চালু হল  ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট)

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বঙ্গ বন্ধুর জন্মশতবর্ষ, আর বাংলাদেশ সেই শতবর্ষকে স্মরণ করে রাখতে চলেছে স্মরণীয় ভাবে। বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের প্রধান কান্ডারি তথা দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মার্চ অবধি উদযাপন করা হবে মুজিববর্ষ।

   

মুজিববর্ষের প্রথম উপহার হিসেবে দেশকে আরো এক কদম এগিয়ে দিলেন মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলা দেশে চালু হল  ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট)। ঢাকার শের-ই-বাংলার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রীকে ই-পাসপোর্ট হস্তান্তর করেন। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসাবে বাংলাদেশে চালু হল এই পরিষেবা।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বাংলা দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তথা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ৯৬ সাল থেকে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তখন শেষ করতে পারিনি। পরে ক্ষমতায় এসে সেগুলো করি। আজকে প্রায় সমগ্র বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে সক্ষম হয়েছি।” তিনি আরো জানান , মুজিববর্ষে ই-পাসপোর্ট জাতির জন্য একটি উপহার। এর মাধ্যমে নয়া যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। এই প্রকল্পের ফলে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। অতীতের ন্যায় আর পাসপোর্ট পেতে সমস্যা হবে না।

বাংলাদেশ সরকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সব উদ্যোগকে ডিজিটাল করে ফেলেছে। সারা বাংলা দেশের ৬৪টি জেলায় ৬৯টি পাসপোর্ট অফিস, ৩৩টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, ৭৫টি বাংলাদেশ মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইং-এর মাধ্যমে পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন সেবাকে দেশের সাধারন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর