চরম বিদ্যুতহীনতায় ভূগছে বাঁকুড়ার

ইন্দ্রানী সেন,বাঁকুড়া: জেলার তাপমাত্রার পারদ যখন ক্রমশ উর্দ্ধমুখী, ঠিক তখন চরম বিদ্যুতহীনতায় ভূগছে বাঁকুড়ার ইন্দাসের আকুই-১,২ ও দীঘলগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। রাত দশটার পর নিয়ম করে বিদ্যুৎ থাকছেনা, এমনকি দিনের বেশীরভাগ সময়েও একই অবস্থা। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। ধারাবাহিক এই ঘটনার জেরে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। ফলে বিদ্যুৎ দফতরের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবীতে বিদ্যুত দফতরের গাড়ী ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এলাকার মানুষ।

তারপরেও সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় লোডশেভিং এর শিকার ইন্দাসের শাশপুর, আকুই ১,আকুই ২ ও দীঘলগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুত পরিষেবা। স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে,দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ এর সমস্যায় ভুগছেন দীঘলগ্রাম ও আকুই ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ। দীঘলগ্রাম এলাকার বাসিন্দা দীপক দলুই বলেন, “মোটামুটি রাত এগারোটার পর থেকে প্রতিদিন নিয়ম করে লোডশেডিং হচ্ছে। আর অনেক সময় রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে গেলেও বিদ্যুতের দেখা নেই। তীব্র গরমে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই খুব অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন।

” তীব্র গরমে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ না থাকায় অতিষ্ট মানুষ রবিবার দীঘলগ্রাম এলাকায় বিদ্যুত দফতরের কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তারপর থেকেই বিদ্যুত পরিষেবা উন্নতির চেয়ে অবনতি হয়েছে। আর এই ঘটনা বিদ্যুৎ দপ্তরের একাংশের কর্মী কাজ না করার ফলেই হচ্ছে বলে একটি সূত্রের দাবী। বিষ্ণুপুর বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। তাঁর নাম প্রকাশ করা হবেনা এই শর্তে এক আধিকারিক বলেন,”বৈদ্যুতিক মেশিনে ধানঝাড়ার কারণে তারে খড়ের কুঁটি উড়ে পড়ছে। রাতে শিশির পড়ে শর্ট সার্কিট হয়ে সমস্যা হচ্ছে।এতে বিদ্যুৎ দফতরের কোনও হাত নেই বলেই তাঁর দাবী।

বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির বিষ্ণুপুর ডিভিশনের আধিকারিক তীর্থ মাল সাংবাদিকদের বলেন, সমস্যার কথা শুনেছি তবে এই বিষয়ে কোন অভিযোগ এখনও হয়নি।এলাকাবাসীকে সচেতন হতে হবে। ধানঝাড়ার আগে ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে শর্টশার্কিট না হয়। এই বিষয়টা এলাকাবাসীকে সচেতন করতে মাইকিং করা হবে। সাধারণ মানুষ যতদ্রুত মেনে নেবেন তত তাড়াতাড়িই সমস্যার সমাধান হবে বলেই তিনি জানান।

সম্পর্কিত খবর