লকডাউনে চরম অভাব, ১০০ দিনের কাজ চাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনে ( lockdown) বাবা আটকে অন্ধ্রপ্রদেশে, নেই ডিজিটাল রেশন কার্ড, মেলেনি ফুড কুপনও। সঞ্চয় শেষ হয়েছে অনেকদিন আগেই, অন্যের দাক্ষিণ্যেই চলছিল এতদিন। এই পরিস্থিতিতে বাঁকুড়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রী ১০০ দিনের কাজ চেয়ে দ্বারস্ত হল প্রশাসনের।

images 2020 05 06T200416.745

জানা যাচ্ছে, বছর ঊনিশের ঐ ছাত্রীর নাম প্রিয়া নন্দী। কলকাতার একটি পলিটেকনিক কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। বাড়ি বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের কাকাটিয়া গ্রামে। লকডাউনে অন্ধ্রপ্রদেশে থাকা ঠিকা শ্রমিক বাবা টাকা পাঠাতে পারেননি। ছিল না ডিজিটাল রেশন কার্ড ও। যাদের ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই তাদের জন্য যে ‘ফুড কুপন’ দেওয়া হয়েছে তাও জোটেনি। এতদিন চেয়ে চিন্তে চলে অবশেষে ১০০ দিনের কাজ চেয়ে পঞ্চায়েতে দ্বারস্থ হয়েছে সে।

কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্রী প্রিয়ার বাবা স্বপন নন্দী অন্ধ্রের বিজয়ওয়াড়ায় ইলেকট্রিশিয়ান। বিভিন্ন ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন। বাড়িতে মা এবং তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী বোন। দুই বোন বিবাহিত। বাবাই সংসারের এক মাত্র উপার্জনশীল মানুষ। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায় লকডাউন ঘোষণার পরে। লকডাউনের পরই স্বপন বাবুর কাজ চলে যায়। তাই বাড়িতে পাঠাতে পারেননি টাকা, নিজেও পারেননি বাড়ি ফিরতে।

লকডাউনের অব্যাহতি পরেই কিছুদিন সঞ্চয় এর কয়েকটা টাকায় চলেছে, প্রতিবেশীরাও সাহায্য করেছেন। তারপর থাকতে হয়েছে আধপেটা খেয়ে। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত জানিয়েছে প্রিয়াকে ১০০ দিনের কাজ করতে হবে না, তার খাবার দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে। যদিও খাদ্য আধিকারিকের এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত খবর