ডেলিভারি বয় হয়ে গেলেন ডাক্তার! মালদা থেকে গ্রেপ্তার ভুয়ো চিকিৎসক

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের একবার ভুয়ো ডাক্তার ধরা পরল মালদায়। অভিযোগ নলহাটির এক বাসিন্দা অন্য এক প্রখ্যাত ডাক্তারের নাম ভাঁড়িয়ে মালদহে চালাচ্ছিলেন চিকিৎসার কাজ। প্রাইভেট চেম্বার খুলে গত কয়েক মাস ধরে রোগীও দেখছিলেন তিনি। সেই ভুয়ো চিকিৎসককেই সোমবার দুপুরে গ্রেফতার করলো মালদা গোয়েন্দা দপ্তর ও সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত যুবকের আসল নাম দেব বর্মন। তিনি নলহাটির বাসিন্দা। গত কয়েক মাস ধরে সে মালদা শহরের প্রাণকেন্দ্র ও ডাক্তার পাড়া হিসেবে পরিচিত সিঙ্গাতলা রোডে একটি ওষুধের দোকানের পাশে শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নাম নিয়ে ডাক্তারি করছিল। ৫০০ টাকা ভিজিটের বিনিময় রীতিমতো জমে উঠেছিল দেব বর্মনের ব্যবসা। এই বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালায় গোয়েন্দা দপ্তর ও সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বিষয়টি জানতে পেরে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এলাকায়।

ভুয়ো ডাক্তারের চেম্বারে আগত অনেক রোগী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পুলিশ জানতে পেরেছে, এই যুবক যে ডাক্তারের নাম নিয়ে ডাক্তারি করতেন তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের একজন নিউরো বিশেষজ্ঞ। আসল শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ই এই বিষয়টি প্রথম জানতে পেরে গোয়েন্দা দপ্তর ও সাইবার ক্রাইমকে জানান। পুলিশ সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক আসলে একজন ডেলিভারি বয়।

যে ওষুধের দোকানে এই ভুয়ো চিকিৎসক চেম্বার খুলে বসে ছিলেন তার কর্ণধার দেবাশীষ সেন জানান, “আমাদের এখানে মাঝেমধ্যেই বড় বড় ডাক্তাররা প্রাইভেট প্র্যাকটিসের জন্য চেম্বার ভাড়া নিয়ে থাকেন। এই ডাক্তারের সন্ধান এক মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের মাধ্যমে পেয়েছিলাম। আমরা বুঝতে পারিনি এর পিছনে এত বড় কাণ্ড জড়িয়ে রয়েছে।”

Fake doctor

এদিন এই ভুয়ো চিকিৎসককে দেখাতে আসা এক রোগীর আত্মীয় জানান, “৫০০ টাকা ভিজিটের বিনিময়ে দীর্ঘদিন ধরে আমার ছেলেকে দেখাচ্ছি। ওষুধ দিত কিন্তু কোন রকম টেস্ট করতে দিত না। আমরা বহুবার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য টেস্টের কথা বলেছিলাম। কিন্তু উনি শুধু ওষুধই দিতেন।” পাশাপাশি, ইংরেজ বাজার থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালদা আদালতে আবেদন জানানো হবে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর