রাজ্যে এবার পাকড়াও ভুয়ো পুলিশ কর্মী! পোশাক সহ বাজেয়াপ্ত হল নকল আইকার্ড

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভুয়ো চিকিৎসক, ভুয়ো সাংবাদিক এবং ভুয়ো অফিসারের পর এবার রাজ্যে খোঁজ মিলল ভুয়ো পুলিশেরও। জানা গিয়েছে যে, পূর্ব মেদিনীপুরে হদিশ মিলেছে এই ভুয়ো পুলিশকর্মীর। আর তারপরেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ভূপতিনগর থানার পুলিশ ইটাবেড়িয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে ওই ভুয়ো পুলিশকর্মীর নাম রূপক কুমার মাইতি। তাঁর বাড়ি পটাশপুর থানার দক্ষিণ সন্দলপুর গ্রামে।

   

এদিকে, অভিযুক্ত যুবকের কাছ থেকে পুলিশের পোশাক ও নকল আইকার্ডও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে যে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই যুবক নিজেকে পুলিশ কর্মী বলে দাবি করতেন। এমনকি, একাধিক পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিতেন তিনি। শুধু তাই নয়, অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে ছবিও তুলতেন অভিযুক্ত যুবক। নকল আইকার্ড বানিয়ে পুলিশের পোশাক পরে ঘুরে বেড়াতেন তিনি।

এমতাবস্থায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভূপতিনগর থানার অন্তর্গত ইটাবেড়িয়া বাজারে পুলিশের পোশাক পড়ে ঘুরছিলেন ওই যুবক। আর তা দেখেই সন্দেহ হয় পুলিশের। এমনকি, তাঁকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় থানাতেও। যদিও, সেই সময়ে তিনি বারংবার নিজেকে পুলিশ কর্মী বলে দাবি করেন। পাশাপাশি, তিনি একাধিক ক্যাম্পে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তোলা ছবি ও পরিচয়পত্রও দেখাতে থাকেন। আর যা দেখে কার্যত অবাক হয়ে যান পুলিশকর্মীরা।

এদিকে, দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে সেই আসল সত্য। একটা সময়ে ওই যুবক মেনে নেন যে, তিনি আদৌ আসল পুলিশকর্মী নন, বরং পুলিশের পোশাক পড়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। তারপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে কাঁথি মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা জানিয়েছেন, “ভুয়ো পুলিশের পরিচয় দিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগে এক যুবককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

এদিকে, শুক্রবার ওই ভুয়ো পুলিশকর্মীকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সেখানে বিচারক তাঁর জামিন নাকচ করে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভূপতিনগর থানার পুলিশও। তবে, ভুয়ো পুলিশ কর্মী গ্রেফতারের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমগ্ৰ এলাকায়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর