কাবুলিওয়ালাকে বিয়ে করে সোনা খান হয়েছিলেন সঙ্ঘমিত্রা, তালিবানের ভয়ে এখন ফিরতে চান কলকাতায়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২০০০ সালে বিয়ে হয়েছিল আফগানবাসী কাবুলিওয়ালার সঙ্গে। বিয়ের পর বছর দুই বাঘাযতীন এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকলেও, প্রথম সন্তান হওয়ার পর কলকাতার (kolkata) সখেরবাজারের সঙ্ঘমিত্রাকে নিয়ে নিজের দেশ আফগানিস্তানের (Afghanistan) পাড়ি দেন যরোসা খান। সেখানে তাঁর নাম রাখা হয় সোনা বাহাদুর খান।

স্বামী সংসার নিয়ে সুখে সংসার করার স্বপ্ন দেখলেও, আফগানিস্তানে গিয়ে নিজের সেই স্বপ্ন ভেঙে চুড়মার হয়ে যায় সঙ্ঘমিত্রার। সেখানে যেতেই শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। স্বামী ও শ্বশুবাড়ির লোকেদের অত্যাচারে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল দুই সন্তানের মা সঙ্ঘমিত্রার। তাঁর পাসপোর্টও লুকিয়ে রেখেছিল শ্বশুবাড়ির লোকজন।

taliban 1 1

গত চার বছর ধরে স্বামীও আলাদা থাকেন, দ্বিতীয় বিয়ে করে। ছেলে মেয়েদের নিয়ে অনেকবার দেশে ফিরতে চাইলেও, বাঁধাপ্রাপ্ত হয় সঙ্ঘমিত্রা। কিন্তু এখন সেই দেশ দখল নিয়েছে তালিবানরা। আগের তুলনায় জীবন যেন এখন আরও বেশি দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। বছর ৯-র মেয়েকে নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। আর ১৯ বছরের ছেলেকেও নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করছে তালিবানি জঙ্গিরা।

এই পরিস্থিতিতে ছেলে মেয়েদের নিয়ে গৃহবন্দী হয়ে রয়েছেন কলকাতার সঙ্ঘমিত্রা দফাদার। বাপের বাড়ি ফিরতে চাইলেও, কোন পথ পাচ্ছেন না বাইরে বেরোনোর। আর এদিকে আফগানিস্তানে তালিবানরা দখল নেওয়ার পর থেকেই, মেয়ের জন্য চিন্তায় দিন রাত চোখের পাতা এক করতে পারছেন না সঙ্ঘমিত্রার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী বাবা এবং গৃহবধূ মা।

bbkb 1

এক সংবাদমাধ্যমকে আতঙ্কিত গলায় প্রশাসনের সাহায্য চেয়ে সঙ্ঘমিত্রা জানান, ‘গত ৪-৫ দিন ধরে তালিবানদের লাগাতার হামলা চলছে। বাড়ির সামনে বন্দুক হাতে ওঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছেলেকেও দলে নিতে চাইছে। সেই কারণে দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে গৃহবন্দী হয়ে রয়েছি। বাবা মায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারছি না’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর