জল নেই, নেই হাওয়াও; তবুও চাঁদের গায়ে পড়ছে মরচে, চাঞ্চল্যকর তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পৃথিবীর (earth) একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ (moon), যা নিয়ে কৌতুহলের অন্ত নেই মানুষের। চন্দ্রপৃষ্ঠে ইতিমধ্যেই মানুষ কয়েকবার পদার্পণ করেছে। পাঠিয়েছে মহাকাশ যানও। তবুও চাঁদের সকল রহস্য আজও জানা সম্ভব হয়। সম্প্রতি মহাকাশ বিজ্ঞানীদের হাতে আসছে আরো এক রহস্যময় তথ্য। জল-অক্সিজেন ছাড়াই মরচে পড়ছে চন্দ্রপৃষ্ঠে।

images 2020 09 04T173600.435

সম্প্রতি ইসরো (ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশান) চন্দ্রায়ন ১ কক্ষপথের তথ্য পর্যালোচনা করবার সময় বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক চন্দ্রায়ন ১ এর মুন মিনারোলজি মাপার যন্ত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে চাঁদে জল নিয়ে গবেষনা চালান। তখনই চাঁদে মরচের বিষয়টি সামনে আসে৷

কিন্তু চাঁদে এখনো পর্যন্ত জল আবিস্কার হয় নি। জল ছাড়া কি ভাবে মরচে পরা সম্ভব তা ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। জলের পাশাপাশি চাঁদে নেই অক্সিজেনও। জল ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় লোহার গায়ে মরচে পড়ে যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ফেরাস অক্সাউড৷

বিজ্ঞানীরা মনে করছে, মরচে ধরে ক্ষয়ে যেতে গেলে যে লোহার জল আর অক্সিজেন দু’টোই লাগে। বহু কোটি বছর আগে যৎসামান্য বায়ুমণ্ডল হয়তো ছিল চাঁদে। কিন্তু যেহেতু চাঁদের মধ্যাকর্ষন শক্তি খুবই কম ( পৃথিবীর মাত্র ৬ ভাগের এক ভাগ) তাই চাঁদ তা ধরে রাখতে পারেনি। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, হালফিলে নয় বহু বছর ধরেই চাঁদের গায়ে জমছে এই মরচে।

অনেকে আবার এই মরচের কারন হিসাবে দায়ী করছে পৃথিবীকেই। চাঁদের কাছে-পিঠে থাকা কোনও গ্রহে যদি অক্সিজেন থাকে, তা হলে তা আমাদের পৃথিবীই। গবেষনা বলছে, যৎসামান্য হলেও পৃথিবী তার বায়ুমণ্ডলে থাকা সেই অক্সিজেন খোয়াচ্ছে৷ পৃথিবীকে ঘিরে থাকা সুবিশাল চৌম্বক ক্ষেত্র ম্যাগনেটোস্ফিয়ার ভেদ করে তা পৌঁছে যাচ্ছে চাঁদে।

 

 

সম্পর্কিত খবর