করোনায় মৃত্যু ছেলের, বাবার বিরুদ্ধে দায়ের হল FIR

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এবার সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল। শিকেয় সামাজিক দূরত্ব। সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পরেও বাবা সরে আসেননি বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে। নিজের জেদকেই বেশী প্রাধান্য দিয়েছে বেশী। আর জন্যই খোয়াতে হল নিজের ছেলেকে থা পাত্রকে। পাত্রের করোনা (corona) সংক্রামিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শুধু তাই নয়, ৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন ওই বিয়েবাড়ি থেকে। এই ঘটনায় মৃত পাত্রের বাবার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল পুলিশ।

   

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্রের বাবা অম্বিকা চৌধরীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ছেলের মৃত্যুর পরে প্রশাসনের কেউ আসার আগেই মৃতদেহ কবর দিয়ে দেয় পরিবার। তথ্য গোপন করারও চেষ্টা তিনি করেছেন বলে অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, অনেক কিছুই মানা হয়নি বিয়েবাড়িতে। “তদন্তে দেখা গিয়েছে ওই বিয়েবাড়িতে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক ও অন্যান্য বিধিনিষেধ মানা হয়নি। তাই বিডিও চিরঞ্জীব পাণ্ডে অম্বিকা চৌধরীর বিরুদ্ধে পালিগঞ্জ থানায় একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করেছেন।”

জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১৫ তারিখ পাটনার পালিগঞ্জ ব্লকের বিয়েবাড়িতে ১১১ জন নিমন্ত্রিত হাজির হয়েছিলেন। গুরগাঁওয়ের এক প্রযুক্তিবিদ যুবকের বিয়ে ছিল। বিহারের বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষেই এসেছিলেন তিনি। বিয়ের ঠিক আগেই শরীর খারাপ হয় তাঁর। জ্বর, সর্দির উপসর্গ দেখা দেয়। বিয়ের দিন অসুস্থই ছিলেন তিনি। এর পরের ডায়রিয়া নিয়ে পাটনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরের দিনই মারা যান তিনি। মৃত্যুর পরে রিপোর্ট আসে, করোনা পজিটিভ।

এর পরেই বিয়েতে হাজির আত্মীয়-বন্ধুদের মধ্যে অনেকেরই নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। টেস্ট করা শুরু হয় তাঁদের, পজিটিভ রিপোর্ট আসে একের পর এক ব্যক্তির। শেষমেশ জুনের ২৪ ও ২৬ তারিখে দু’টি বিশেষ টেস্ট শিবিরেরই আয়োজন করা হয় প্রায় ৪০০ মানুষের নমুনা সংগ্রহের জন্য। তাঁদের মধ্যে সকলেই হয় বিয়েতে নয় শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন। তাতে দেখা যায় ৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

সরকারি নিয়মে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বিতীয় দফার আনলকে কোনও বিয়েবাড়িতে ৫০ জনের বেশি একত্রিত হতে পারবেন না। শেষকৃত্যের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ২০ জন। কিন্তু এই বিয়েবাড়ি ও তার পরবর্তী শেষকৃত্য সব নিয়ম ভেঙে দিয়েছে। তাই এই ঘটনায় পাত্রের বাবার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে পুলিশ।

সম্পর্কিত খবর