পৌরাণিক মতে বাংলায় প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন সুরথ রাজা, কিন্তু জানেনা অধিকাংশ বাঙালী

স্বপ্ন প্রিয়া ঘোষাল: বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। বাঙালিদের সারা বছরের অপেক্ষা পুজোর এই দিন গুলোর জন্য।অনেক যুগ ধরেই বাঙালিরা নারী রূপে শক্তির আরাধনা করে চলেছে। বর্তমানে পাড়ায় পারায় কোথাও থিম বা কোথাও বনেদিয়ানায় মুড়ে সেজে ওঠে মায়ের প্রতিমা। বনেদি বাড়ি গুলোতেও প্রস্তুতি তুঙ্গে। কিন্তু জানেন কি পৌরাণিক মতে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দুর্গাপুজো কে করেন?কি বলছে পুরাণ? কী আছে ইতিহাসের পাতায়?

                                  মেধাস মুনির আশ্রম
   

মারকন্ডেয় পুরাণ বা শ্রী শ্রী চণ্ডী পুরাণ মতে বলিপুরের রাজা, যা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় শান্তিনিকেন বোলপুর, সেখানকার রাজা রাজা সুরথ প্রথম দুর্গাপুজো করেন। তিনি মা দুর্গার মহিষাসুর মর্দীনি রূপকে পুজো করে। এই রূপেই দেবী দুর্গা বঙ্গে অধিক পূজিতা। এই রূপে দেবী মহিষ রুপি অশুর, যা অশুভ শক্তির প্রতীক, তাকে বধ্ করে শুভ শক্তির বিজয় ঘোষণা করেন। বোলপুরে মেধাস মুনির আশ্রমের কাছেই আছে তার এই পুজাস্থল। বাংলায় অধিকাংশ মানুষ প্রায় শক্তির আরধক, বা শাক্ত। তাই বাংলার মানুষের কাছে এই দুর্গাপুজোর মাহাত্ম আলাদা। দুর্গা পুজোর মাধ্যমে নারী রুপি শক্তির আরাধনা করে বাংলার মানুষ। বলা হয় সভ্যতার শুরু আগে থেকেই এখানে পূজিতা হন দেবী দুর্গা। এছাড়াও ইতিহাস মতে দ্বাদশ শতাব্দীর বাংলার পাল সাম্রাজ্যে পূজিতা হতেন দেবী দুর্গা।পাল বংশের রাজারা দেবী দুর্গার আরাধনা করতেন। সেই সময় দেবীর মহিষাসুর মির্দিনি রূপের অনেকগুলি মূর্তি তৈরি করে ছিলেন পাল বংশের রাজারা। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বাংলার দুর্গাপুজোর ইতিহাস কতটা দীর্ঘ এবং গৌরবময়।

সম্পর্কিত খবর