কাবুল হামলায় প্রাণ হারানো পাঁচ মার্কিন জওয়ানের বয়স ২০-র আশেপাশে, শোকার্ত পরিবার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কাবুল হামলায় প্রাণ হারানো ১৩ মার্কিন সেনার পরিবার একদিকে যেমন শোকে রয়েছে, তেমনই গোটা পরিবারে নেমেছে চরম ক্ষোভ। তাঁরা আফগানিস্তানে চলা উদ্ধার কাজে গড়বড়ের আশঙ্কা তুলে বাইডেন প্রশাসনকে দায়ী করেছে।

দুর্ভাগ্যপূর্ণ বিষয় হল, আমেরিকার নৌসেনার ৫ মেরিন এমন ছিলেন যারা ২০০১ সালে আফগানিস্তানের যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় জন্ম নিয়েছিলেন। আর এখন সেই আফগানিস্তানেই জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারাতে হল।

২০ বছর বয়সী ল্যান্স কর্পোরেল ক্যারিম নিকোই তাঁদের মধ্যে একজন। বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী হামলার পর তাঁর বাবাব স্টিভ নিকোই ছেলের খবর পাওয়ার জন্য সারাদিন টিভির সামনে বসে ছিলেন। ওনার বিশ্বাস ছিল যে, ছেলে বেঁচে আছে। কিন্তু সেই সময় বাড়িতে শোকের খবর পৌঁছে যায়।

বিস্ফোরণের একদিন আগে নিকোই এক আফগান শিশুকে ক্যান্ডি দেওয়ার একটি ভিডিও পরিবারকে পাঠিয়েছিলেন। এছাড়াও ওই হামলায় প্রাণ হারানো তাঁরই বয়সের আরও ৪ মেরিন ছিল।

হামলায় দুই মহিলা মেরিনও প্রাণ হারান। তাঁদের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার ২৩ বছর বয়সী নিকোল এল গি ছিল। সে আফগানিস্তানে মোতায়েন হওয়ার সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ছেড়েছিল। কয়েকদিন আগে উর্দি পরা অবস্থায় কোলে একটি ছোট শিশুকে নিয়ে ছবি ছেড়েছিল নিকোল। ছবির ক্যাপশনে সে লিখেছিল ‘আমি আমার কাজকে খুব ভালোবাসি।”

এছাড়াও ম্যাসাচুসেটস-র ২৫ বছর বয়সী জাহনি রোজারিও পিকার্ডোর মৃত্যুতে গোটা শহর শোকে ডুবেছে। হাজার হাজার মানুষ তাঁর শোক সভায় অংশ নেন। শহরের মেয়র রোজারিওকে এক বিশেষ সম্মানও দেন।

২০ বছর বয়সী নিকোইয়ের বাবা স্টিভ বলেন, যেমন ভাবে রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সেনা ফেরত আনলেন, সেটা দেখে আমি হতাশ। সেখানে উপস্থিত জওয়ানরা বিপদ দেখে বাকিদের বাঁচানোর কাজে লাগতে পারত। কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর জওয়ানের পরিবাররা তাঁদের সন্তানদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরার মাত্র কয়েকদিন আগেই সন্তানদের মৃত্যুর খবর তাঁদের শোকার্ত করে দিয়েছে।

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর