জীবনের বিনিময়ে উন্নয়ন! উত্তরাখণ্ডে গাড়ির উচ্চগতিতে প্রাণ হারাল গর্ভবতী বাঘিনী

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আমাদের সার্বিক উন্নয়নের অবশ্যই প্রয়োজন আছে। যতই আমরা আনধুনিক হচ্ছি ততই নতুন নতুন উন্নয়নের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠছি আর ততই আমাদের প্রতিযোগিতার মাত্রা বেড়ে য়াচ্ছে। কিন্তু সেই উন্নয়ন আপাতদৃষ্টিতে আমাদের জন্য ভালো হলেও সকলের জন্য কিন্তু ভালো হয়না সবসময়। বিশেষ করে পশুপাখিদের জন্য।বিশেষ করে সেই উন্নয়ন যখন কোনো প্রাণকে হত্যা করে তখন উন্নয়ন আমাদের কাছে অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায় আমাদের জ্ঞানত বা অজ্ঞানত অবস্থায়। তবে এগুলির জন্য অবশ্যই আমাদের পুনর্বিবেচনার প্রযোজন আছে।1 5dfdae7f35c54 1

অনেকসময রেলগাড়ির ধাক্কায় পশুদের মৃত্যুর খবর আমরা পেয়ে থাকি। কিন্তু তা আসলে দুর্ঘটনাই , তবে ইচ্ছাকৃত ভাবে যদি আমরা তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকি তা সার্বিক ভাবে সকলের জন্যই খারাপ। ঠিক এমনই এক ঘটনা ঘটল, সম্প্রতি, কুমাসনের তেরাই পশ্চিম বন বিভাগের চুনাখা এলাকার রামনগর-হলদওয়ানি সড়কে একটি দ্রুতগতি গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে একটি গর্ভবতী বাঘের।

বাঘটির ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে সে অন্তঃস্বস্বত্ত্বা ছিল। যদিও এই ঘটনা প্রথম নয়। বাহুবার উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলে গাড়ির ধাক্কায় বহু প্রাণী মারা যায়। প্রাই দাঁতাল হাতির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। বনাঞ্চল দিয়ে ট্রেন যাবার সময় গতি এতটাই বেশি থাকে যে গাড়ির সামনে পড়ে হাতি সহ অন্যান্য বন্য প্রাণীর মৃত্যু হয়। যে বনাঞ্চল বন্য প্রানীদের আবাসস্থল সেই বনাঞ্চলের বুক চিরে যেভাবে ট্রেনলাইন গিয়েছে তাতে এধরনের খবর যেন ভাতমুড়ির মতো হয়ে উঠেছে।

তবে উত্তরা খণ্ডের এই ঘটনার পর গাড়িগুলিকে শনাক্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড বন বিভাগের এক অধিকর্তা। অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডের এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। কারণ এর আগেও বহুবার সড়ক পথছে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছে অনেক বন্যপ্রাণী। তারমধ্যে ২০০১ সালের একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে চিতাবাঘের মৃত্যুর সংখ্যাই সবথেকে বেশি।

সম্পর্কিত খবর